কঙ্গোতে সড়ক দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরা বেগমের মৃত্যু পুলিশের জন্যতো বটেই, দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে নিহতের জানাজা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাজীবন এ পুলিশ কর্মকর্তা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। অনেক পরিশ্রম করে তিনি আজকের পজিশনে এসেছিলেন। যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, তাতে আরো ভালো পজিশনে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তার অকালে চলে যাওয়া পুলিশের জন্য তো বটেই, দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
৭ম বিসিএসে রৌশন আরা বেগমের সহকর্মী র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, একসঙ্গে পুলিশে যোগ দিয়েছি, ট্রেনিং করেছি। অনেক অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি কখনো অসততার আশ্রয় নেননি, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তাকে দেখে উদীয়মান, মেধাবী অনেক ছাত্রী বিসিএস দিয়ে পুলিশে আসার স্বপ্ন দেখেছে। তার অকাল মৃত্যু সত্যিই অপূরণীয়।
জানাজা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব, পিবিআই, সিআইডি, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, পুলিশ সদর দপ্তরসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়।
রোববার (৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কঙ্গোর কিনসা এলাকায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রৌশন আরা। তিনি সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ ইউনিট সদস্যদের মেডেল প্যারেডে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি প্লেনযোগে ভোর সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ পুলিশের শীর্ষ এই নারী কর্মকর্তা মরদেহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজার নয়াটোলা জামে মসজিদে তার প্রথম দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুর ১২টায় মগবাজার ওয়্যারলেস জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা এবং বাদ জোহর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
রৌশন আরা বাংলাদেশ পুলিশে প্রথম নারী পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে একটি জেলার দায়িত্ব পালন করেন এবং অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত দ্বিতীয় নারী।