শেষ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৬টিতে ইভিএমে ভোট

স্টাফ রিপোর্টার

উপজেলা নির্বাচন
ফাইল ছবি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপ তথা পঞ্চম ধাপে ছয়টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ধাপে ১৮ জুন ১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ মে, যাচাই-বাছাই ২৩ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ১৮ জুন।

উপজেলাগুলো হলো- শেরপুরের নকলা, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, বরগুনার তালতলী, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, গাজীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, মাদারীপুর সদর,

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ এবং নোয়াখালী সদর উপজেলা।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, শেষ ধাপে ছয়টি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এগুলো হলো- গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, বাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, কুমিল্লার আদর্শ সদর ও সদর দক্ষিণ এবং নোয়াখালী সদর উপজেলা।

এর আগে চতুর্থ ধাপে ৩১মার্চ ছয়টি উপজেলায় এবং ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে চারটি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে ইসি।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছিল, ইভিএমে নির্বাচন শেষ হওয়ার দু’ থেকে তিন ঘণ্টার মধ্য ফলাফল প্রকাশ করা যাবে। কিন্তু আগের দুই ধাপে রাত ১১টা নাগাদও ফল প্রকাশ করতে পারেনি ইসি।

শুধু তাই নয়, গত ৫ মে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ইসি ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফল প্রকাশ করতে পারেনি। গত সংসদ নির্বাচনেও ইভিএমের চেয়ে ম্যানুয়ালি ফল প্রকাশ হয়েছে তুলনামূলকভাবে দ্রুত।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার তথ্যানুযায়ী, ইভিএম পরিচালনায় সেনাবাহিনীর একটি টিম কারিগরি সহায়তা দেবে। যেটা সব নির্বাচনেই তারা দিয়ে আসছে। আর সঙ্গে থাকা ইসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তারাও।

বর্তামানে  ব্যবহৃত ইভিএম উন্নতমানের বলে দাবি করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। প্রতি মেশিন তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকার মতো, যা সরবরাহ করছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি।

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামীতে সব নির্বাচনেই ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আগামী ২৪ জুনের বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনেও এ যন্ত্রে ভোট নেবে ইসি।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএমে ভোট নিলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু সে অনুসারে ভোট পড়ার হার বাড়ছে না। যেখানে ৬০ শতাংশের নিচে ভোট পড়ছেনা ম্যানুয়াল ব্যবস্থায় অর্থাৎ ব্যালট পেপারে, সেখানে ইভিএমের ভোট গড়ে ৫০শতাংশের ওপরে ওঠছে।

ভোটার এডুকেশন, প্রচারণা ও ভোটিং যথাযথভাবে হচ্ছে না। এছাড়া প্রশিক্ষণেও ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, নতুন প্রযুক্তি ভোটারদের অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে। কর্মকর্তাদের দক্ষতাও বাড়বে। আশাকরি, সময় যতো যাবে ইভিএমেও মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ময়মনসিংহ সিটিতে কিন্তু মানুষ উৎসাহের সঙ্গেই ভোট দিয়েছে। একটা আরো বাড়বে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে