মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিতেছে ২টি ওয়ানডে সিরিজ। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম এন্ড অ্যাওয়ে,২টি সিরিজের ট্রফিই ঘরে তুলেছে বাংলাদেশ দল। আয়ারল্যান্ড সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ২টি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ের পেছনেও মাশরাফির ক্যাপ্টেনসি রেখেছে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬টি ওয়ানডে ম্যাচের ১৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এই ১৩টি জয়ের ৬টি আবার সর্বশেষ ৮ লড়াইয়ে। যে পর্বে বাংলাদেশ দলের ৬টি জয়েই নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। এই ৬টি জয়ের ২টি আবার ৮ উইকেটে,২টি ৫ উইকেটে।
- আরও পড়ুন>> ঈদে পূর্ণিমাকে বড়পর্দায় দেখা যাচ্ছে না
শুধু ক্যাপ্টেনসিই নয়, প্রতিপক্ষ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তখন বল হাতে নেতৃত্বটাও মাশরাফির। ২০০৬ সালে জয়পুরে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাশরাফির অভিষেক কেটেছে উইকেটহীন। অথচ, এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১৭ ইনিংসের অন্য ১৬টি’র একটিতেও কাটেনি উইকেটহীন। এই ১৬ ইনিংসে ৩০ উইকেটে বাংলাদেশের সব বোলারকে ছাড়িয়ে গেছেন মাশরাফি।
দু’দলের মুখোমুখি ৩৬ লড়াইয়ে উইন্ডিজ পেস বোলার কেমার রোচ এর সঙ্গে যৌথভাবে ৩০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে মাশরাফি। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটি থেকে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মাশরাফির শিকার ৭ উইকেট। একই বছরের ডিসেম্বরে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মাশরাফির শিকার ৬ উইকেট!
সর্বশেষ ২ ম্যাচে সেখানে নামতা গুনে ৩টি করে শিকার মাশরাফির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ ৮ ইনিংসে মাশরাফির শিকার ১৯ উইকেট। যে পর্বে আছে একটি ৪ উইকেটের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪২ ম্যাচে ৬৩ উইকেটে একক কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বোচ্চ শিকার মাশরাফির।
দ্বিতীয় পছন্দের প্রতিপক্ষের নাম কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টূর্নামেন্টে ১০টি টূর্নামেন্টে অংশ নিয়ে এই নিয়ে ৩ বার ফাইনালের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে মিরপুরে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে বাংলাদেশ কেঁদেছে শ্রীলংকার কাছে। ২০১৮ সালে ম্যাচের মাঝপথে সাকিবের ইনজুরিতে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ দল সেই শ্রীলংকার কাছে। এবার নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টূর্নামেন্টের ফাইনালে আর ট্র্যাজেডী নয়। অধিনায়ক মাশরাফি আছেন বলেই স্বপ্ন ছুঁয়েছে আকাশ ।