উপ-নির্বাচন : ফখরুলের আসনে বিএনপির ‘চূড়ান্ত’ প্রার্থী সিরাজ

ডেস্ক রিপোর্ট

সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ

বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকেই ধানের শীষের প্রার্থী করা হচ্ছে।

আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা নিজেই জানান তিনি।

গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, দলের হাইকমান্ড আমার মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে এবং আমার নামে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ বরাদ্দের কথা বলেছে। দু’ একদিনের মধ্যে আমি ঢাকায় গিয়ে ওই চিঠি নিয়ে বগুড়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করব।

শহরের রিয়াজ কাজী লেন এলাকায় সাবেক সাংসদ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, আহবায়ক কমিটির সদস্য আলী আজগর হেনাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দলের কারারুদ্ধ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

অন্য চারজন হলেন দলের জেলা কমিটির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমান, সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও দলের বিলুপ্ত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন।

তবে ওই পাঁচজনের মধ্যে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং জয়নাল আবেদীন চাঁন মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেননি। বাকী তিনজন মনোনয়ন তুললেও বগুড়া পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করায় গত ২৭ মে অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। ফলে বর্তমানে বিএনপির দুই নেতা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং রেজাউল করিম বাদশা বৈধ প্রার্থী হিসেবে রয়ে গেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে পদ বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, আমরা তাদেরকে বুধবার পর্যন্ত সময় দিতে চাই। এর মধ্যে যদি তারা ফিরে না আসেন তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে পারে। আর যদি তারা ফিরে আসে তাহলে নির্বাচনের পর তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বগুড়া-(৬) সদর আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ না নেওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এরপর গত ৮ মে তফসিল ঘোষণা করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে ওই আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির ৮ বৈধ প্রার্থী রয়েছেন।

আগামী ৩ জুন এই নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর ২৪ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে