বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৫০ দেশে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করছে এবং এই খাত থেকে চলতি অর্থবছরে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে।
আজ রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সরকারি দলের সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগরের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, রাশিয়ার দেশসমূহ বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের প্রধান আমদানিকারক দেশ।
তিনি বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের গত জুলাই থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ওই সকল দেশে প্রায় ৬৮ হাজার ৬৫৫ মেট্রিকটন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ৩৮৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার ১৫৮ মেট্রিকটন চিংড়ি রপ্তানি করে ২৯১৬ কোটি টাকা এবং ৩৫ হাজার ১৪৮ মেট্রিকটন ফিনফিস রপ্তানি করে ৮৯৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
একই দলের এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে আশরাফ আলী খান খসরু জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে গবাদিপশুর ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা না থাকলেও একজন করে মাঠকর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জন্য একটি নতুন জনবল কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
- জয়ের জন্য ভারতের দরকার ৩৩৮
- গ্যাসের দাম বেড়েছে, কাল থেকে কার্যকর
- ‘ঈমান বাঁচাতে’ অভিনয় ছাড়ছেন জায়রা!
সরকারি দলের আরেক সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এখন মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটনের বিপরীতে মোট উৎপাদন হয়েছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিকটন।
তিনি বলেন, দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির প্রায় এক চতুর্থাংশের বেশি (২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ) মৎস্য খাতের অবদান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী দৈনিক মাথাপিছু ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম। ফলে মাথাপিছু মাছের চাহিদা অনুযায়ী মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ।