গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন।
নিহতেরা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকার শফিউদ্দিন সিদ্দিকীর ছেলে লিয়ন সিদ্দিকী (৩৮) ও টেকনাফ সদরের মহেষখালীয়া পাড়া এলাকার মৃত আবুল হাসিম প্রকাশ হাশেমের ছেলে ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হামিদ প্রকাশ (৪৫)।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশ জানায়, জয়দেবপুর থানার একটি হত্যা ও মাদক মামলায় সোমবার রাতে পুলিশ লিয়নকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। রাতেই তার দেওয়া তথ্যমতে পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধারে কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এক পর্যায় সিনাবহ এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা লিয়ন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে পালিয়ে যাওয়ার সময় লিয়ন গুলিবিদ্ধ হন। এসময় লিয়ন বাহিনী অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও সেখান থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। আহতাবস্থায় লিয়নকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, লিয়নের বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলি ও একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে।
এদিকে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ জানায়, নিহত হামিদ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি বহু মামলার পলাতক আসামি ও চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, হত্যা, মানব পাচার ও অস্ত্রসহ ডজনখানিক মামলা রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, সোমবার বিকেলে মহেষখালী পাড়া বাজার এলাকা থেকে হামিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ ওই এলাকায় তার আস্তানায় অভিযানে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গুলিবিনিময়ের পর ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি জানান, হামিদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।