চীনের জিয়াংসু প্রদেশ থেকে যুক্তরাজ্যের চার নাগরিকসহ ১৬ বিদেশিকে মাদক গ্রহণের অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
বেইজিংয়ে ব্রিটিশ দূতাবাস থেকে এ খবর দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার জানায় বিবিসি।
বিবৃতিতে বলা হয়, জিয়াংসু প্রদেশে যুক্তরাজ্যের চার নাগরিক আটকের পর আমরা চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
চীনা পুলিশ জানায়, পরীক্ষায় ১৬ বিদেশির সবার রক্তের নমুনায় মাদক পাওয়া গেছে।
তবে তারা ঠিক কী ধরনের মাদক গ্রহণ করেছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি। চীনে মাদক আইন অত্যন্ত কঠোর।
গত মঙ্গলবার জিয়াংসু প্রদেশের ‘সুঝৌ পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো’ চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে দেওয়া এক বিবৃতিতে সাফল্যের সঙ্গে একটি মাদক চক্রকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়।
বলা হয়, তারা মাদক চক্রের ১৯ সদস্যকে আটক করেছে। যাদের মধ্যে ১৬ জন বিদেশি।
আটকদের মধ্যে ১৮ জনকে কোনো বিচার ছাড়াই বন্দি করে রাখা হবে। সর্বোচ্চ ১৫ দিন তাদের বন্দি করে রাখা যাবে।
বাকি একজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং একজন অপরাধী হিসেবে তার বিচার হবে।
বিবিসির ধারণা, আটকদের মধ্যে সাত জন শিক্ষক এবং নয় জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত কয়েকজন আন্তর্জাতিক ভাষা বিষয়ক স্কুল ‘এডুকেশন ফার্স্ট’র।
যদিও পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
তবে সিনহুয়ার খবরে আটকদের কয়েকজন সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ‘এডুকেশন ফার্স্ট ’ (ইএফ) সেন্টারের বলে জানায়।
আটকের খবর প্রকাশের পর ইএফ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, মাদকের বিষয়ে তারা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতেতে চলে।
‘অথচ মাদক গ্রহণের ঘটনায় এমন কী কয়েকজন শিক্ষক জড়িত থাকার ঘটনায় আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।’