সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে (৫৫) দিনদুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের কাশেমপুর হাজামপাড়া নামকস্থান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত নজরুল ইসলাম আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের কুঁচপুকুর গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে।
নজরুল ইসলামের নিহত হওয়ার খবর পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনছুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি জানান, সকালে নজরুল ইসলাম কদমতলা থেকে বাজার করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেল যোগে এসে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
- আরও পড়ুন, ডেঙ্গুতে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জনের মৃত্যু
সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ জানান, আওয়ামী লীগ নেতার হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।
নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ হোসেনের অভিযোগ, স্থানীয় সাবেক মেম্বার তৌহিদুলের সঙ্গে তার বাবার দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে তার বাবাকে তৌহিদ মেম্বারের লোকজন হত্যা করতে পারে।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনছুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে নজরুলের প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলামের পরিবারের ওপর নয়বার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সেসব হামলায় তার ভাই সিরাজুল ইসলাম ও ভাতিজা যুবলীগ নেতা রাসেল নিহত হন। নজরুল নিজের নিরাপত্তার জন্য সে সময় সাতক্ষীরা সদর থানায় রাত্রি যাপন করতেন।