ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক যাত্রী।
সোমবার দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে কসবার মন্দবাগ নামক স্থানে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে শুধু শোক জানিয়ে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী ট্রেন দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান।
ট্রেন দুর্ঘটনায় রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক জাতির সঙ্গে তামাশা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজের ফেসবুকে ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন মেজর আখতার।
তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-
‘শোকের নামে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রহসন!!
সরকার তার নিয়ম অনুযায়ী ঘটনার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর শোক জানিয়ে দিয়েছে! কিন্তু সব ঘটনা যে এক নয় এবং সব ঘটনার জন্যই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক জানিয়ে দায় এড়ানোর সুযোগ থাকে না তা চাটুকার সরকারি কর্মচারীরা জানেন না।
ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন যার দায়দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কারণ আমাদের দেশে ট্রেন চালায় রাষ্ট্র। তাই রেলের সব দায়দায়িত্ব রাষ্ট্রের এবং এই দুর্ঘটনার দায়দায়িত্বও রাষ্ট্রের।
রাষ্ট্রের প্রধান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান নির্বাহী হলেন প্রধানমন্ত্রী। কাজেই এই ট্রেন দুর্ঘটনার দায়দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
তাদের অধিনস্ত যাদের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকুক না কেন তার মূল দায়িত্ব কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর এবং রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগকর্তা তাই রাষ্ট্রপতিও উনার দায়দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
আমাদের ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস- নিজেদের ব্যর্থতায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ মেরে এবং রাষ্ট্রের সম্পদের ক্ষতি করে এখন চটজলদি শোক জানিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। ছি, লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা।’