দেশের সব সরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক ডেলিভারি সুবিধার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ‘জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কেন্দ্র’ কর্তৃক আয়োজিত ‘বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সম্মেলনে শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমাদের ২০৩০ সালের মধ্যে অপরিণত শিশু মৃত্যুহারের লক্ষ্যমাত্রা ১২ নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতের সবাই সঠিকভাবে কাজ করলে এই অপরিণত শিশু মৃত্যু হারের লক্ষ্যমাত্রা আগামী ২ বছরেই অর্জন করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে দেশের সব সরকারি হাসপাতালেই গর্ভবতী মায়েদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ডেলিভারি সুবিধাও রাখা হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক আলম আরা বেগম, পরিকল্পনা শাখার যুগ্ম-প্রধান ডা. আ. এ. মো. মহিউদ্দীন ওসমানী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বার্দন জাং রানা, ইউনিসেফ-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি তমু হজুমি, ইউএসএইড-এর প্রতিনিধি জারসাস সিধা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমএনসি বিভাগের লাইন ডাইরেক্টর শামসুল হক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, বিশ্বে প্রতিবছর ১৫ মিলিয়ন মানুষ অকালে জন্ম নেয়। এর ফলে প্রচুর সংখ্যক শিশু অপরিণত বয়সেই মারা যায়। আমাদের দেশেও ৩১ ভাগ শিশু অপরিমিত বয়সে জন্মের কারণেই মারা যাচ্ছে। এই মৃত্যু রোধ করতে মায়েদের ‘ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার’ সেবা দিতে হবে। দেশের সব হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা গর্ভবতী মায়েদের জন্য সেবা বিভাগ রাখতে হবে।
এর পাশাপাশি নার্স ও মিডওয়াইফারিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং শিশু মৃত্যুহার হ্রাস করতে হবে। এ বিষয়ে উপযুক্ত পরিকল্পনা হাতে নিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।