রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রোভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।
আজ সোমবার ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দেখতে গিয়ে এই দাবি জানান প্রোভিসি।
বিষয়টিকে কলঙ্কজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করে প্রোভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক, নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। আমাদের লজ্জার শেষ নেই। মেয়েটিকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, পরে তাকে অপমান করেছে দুর্বৃত্তরা। আমরা সরকারের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।’
প্রোভিসি বলেন, ‘মেয়েটি শারীরিকভাবে ভালো আছে। তবে তার মানসিক ক্ষত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তার চিকিৎসার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা তার চিকিৎসার সব ধরনের দায়িত্ব নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো খুবই সক্রিয়। অচিরেই দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।’
বিশ্ববিদ্যালয় এ ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা জানতে চাইলে প্রোভিসি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘মাত্র অফিস খুললো। আমি যাচ্ছি, ভিসির সঙ্গে কথা বলে বাকি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া, সরকারের কাছে আমরা অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানাই। আমরাও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো।’
এ সময় প্রোভিসির সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে চড়ে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী। কুর্মিটোলা বাস স্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান ওই ছাত্রী। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।