ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি-ডিএসসিসি) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এ সময় তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে অনশনে বসেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল।
পূজার দিন নির্বাচন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন বলেন, আগামী ৩০ তারিখ সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন মূর্খতার পরিচয় দিয়েছে। ক্যালেন্ডারের দিকে না তাকিয়ে মুখস্ত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে এদেশের আবহমান বাংলার অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত পুনরায় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমি অনশনে থাকব। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের অনশন চালিয়ে যাব।
আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ইসি নিজেই সাম্প্রদায়িক উসকানিতে সহায়তা করেছে। আবহমানকাল থেকে এ বাংলার মানুষ অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা লালন করে আসছে। আজকে ইসি যে কাজটা করেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইসি এ সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করবে বলে আমরা আশাবাদী। আশা করি ইসি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করবে।
অনশন কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) উৎপল বিশ্বাস বলেন, আমরা চাই না রাস্তাঘাট অবরোধের কারণে মানুষ দুর্ভোগে পড়ুক। তাই আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। যত দিন পর্যন্ত নির্বাচনের তারিখ পেছানো হবে না, তত দিন পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব।
- পুঁজিবাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- সগিরা হত্যা : চারজনের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে পিবিআইয়ের চার্জশিট
- ২৫ জানুয়ারি থেকে এক মাস সব কোচিং বন্ধ : শিক্ষামন্ত্রী
দুই সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানোর দাবি করে আসছে। তারা বলছে, ৩০ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভোটকক্ষ হলে পূজা উদযাপন ব্যাহত হবে। তবে ইসি বলছে, ক্যালেন্ডার দেখেই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের জায়গায় নির্বাচন এবং পূজার জায়গায় পূজা হবে বলেও জানান ইসির কর্মকর্তারা।