বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন

শক্তিতে ফিলিস্তিনই ছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের টপ ফেবারিট। যেমনটি ছিল দুই বছর আগে ২০১৮ সালেও। ঢাকা থেকে তারা যে ট্রফিটি নিয়ে দেশে ফিরেছিল সেটা ছিল ফিলিস্তিনির প্রথম দেশের বাইরে কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়।

সেই ট্রফিটি তারা রেখে দিল নিজেদের দখলেই। পরপর দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ফিলিস্তিন ৩-১ গোলে হারিয়েছে আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডিকে।

সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয়া বুরুন্ডি ফাইনালে সুবিধা করতে পারেনি তাদের চেয়ে কাগজ-কলমে এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের সামনে। প্রথমার্ধেই ৩ গোল খেয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় আফ্রিকার দেশটি।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফিলিস্তিনকে ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল বুরুন্ডি। একটি গোল করে ব্যবধানও কমিয়েছিল। কিন্তু রক্ষণ জমাট করে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা ফিলিস্তিনকে দ্বিতীয় গোলের উৎসব আর করতে দেয়নি।

এগিয়ে থাকাটা ধরে রেখে বরং মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিই করেছে শিরোপা জয়ের চূড়ান্ত উৎসব। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে এশিয়া ও আফ্রিকার মধ্যে যে লড়াই শুরু হয়েছিল তাতে জিতল স্বাগতিক মহাদেশের দেশটিই।

তৃতীয় মিনিটেই গোল- একটি দলের স্পিরিট বাড়ানো জন্য যা যথেষ্ট। সেই কাজটি করেছিলেন ফিলিস্তিনের খালেদ সালেম। অধিনায়ক সামেহ মারাবার ক্রস থেকে সালেমের প্লেসিংয়ে ফিলিস্তিন এগিয়ে যায়। অধিনায়ক মারাবা নিজেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ১০ মিনিটে। ২৬ মিনিটে খারুব গোল করে ব্যবধান ৩-০ করলে বড় স্বস্তি নিয়েই বিরতিতে যায় ফিলিস্তিন।

জিততে হলে চাই চার গোল। আর ম্যাচটাকে অন্তত অতিরিক্ত সময়ে টেনে নিতে চাই কমপক্ষে ৩ গোল-এমন সমীকরণ নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ যেন শুরু করল নতুন এক বুরুন্ডি।

ফিলিস্তিনের রক্ষণে মনোযোগের সুযোগে আফ্রিকার দেশটিই বেশি সময় পার করলো প্রতিপক্ষের বক্সের আরপাশে। কিন্তু ৬০ মিনিটে নিদিকুমানার গোলে ব্যবধান কমানো ছাড়া ফিলিস্তিনকে আর বিপদে ফেলতে পারেনি আগের তিন ম্যাচে ১০ গোল করা দলটি।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ফিলিস্তিন হলো প্রথম দল যারা টানা দুইবার জিতল এই টুর্নামেন্ট। এর আগে মালয়েশিয়া থেকে আসা দুটি দল নিয়ে গেছে জাতির পিতার নামের এ ট্রফি। ১৯৯৭ সালে প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মালয়েশিয়া লাল এবং ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২২ দল।

খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে