দখলদার ইসরাইলিদের সৌদি আরবে সফরের অনুমতি দিয়ে আজ রোববার একটি নির্দেশনায় সই করেছেন ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরিয়া ডেরাই।
এর মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে রিয়াদে যেতে পারবেন ইসরাইলি ইহুদিরা। এ ঘোষণা সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরাইলের উষ্ণ সম্পর্কের সর্বশেষ নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যদিও দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ইসরাইলের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নাগরিকরা সৌদি ভ্রমণের সুযোগ পেল। নিউ ইয়র্ক টাইমস, হারিৎস ও মিডিল ইস্ট আইয়ের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।
এখন থেকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ইসরাইলিরা সৌদি আরবে ৯ দিন পর্যন্ত সফর করতে পারবেন। এছাড়া অবৈধ রাষ্ট্রটির ভিসায় হজ ও ওমরাহ পালনেও তাদের সামনে কোনো বাধা থাকল না।
তবে উপসাগরীয় দেশটির কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ সাপেক্ষেই তারা সেখানে যেতে পারবেন বলে খবরে দাবি করা হচ্ছে।
নতুন এই ঘোষণা এমন এক সময় এসেছে, যখন মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি আরবের সমর্থন এই পরিকল্পনাকে গতিশীল করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সঙ্গে বৈরিতা থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের এই মাখামাখি।
এর আগে আরব রাষ্ট্রটির সঙ্গে পরোক্ষ সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকবার বড়াই করতে দেখা গেছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে। কেবল মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে ইসরাইলের শান্তিচুক্তি রয়েছে।
প্রকাশ্য এই অনুমোদন আসার আগেই বহু ইহুদি সৌদি আরব সফর করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে দেশটিতে যেতে হলে তাদের বিদেশি পাসপোর্ট কিংবা বিশেষ অনুমোদন নিতে হতো।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ইহুদিবাদী দেশটির প্রতি সৌদির ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখা গেছে।
এর আগে ২০১৮ সালে এয়ার ইন্ডিয়াকে ইসরাইলি রুট দিয়ে সৌদি আকাশে উড়ালের অনুমোদন দিতে দেখা গেছে।