ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণের দুই ঘণ্টা অতিক্রম হলেও ভোটকেন্দ্র গুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্টদের উপস্থিতি শতভাগ থাকলেও বিএনপির এজেন্ট সব কেন্দ্রে লক্ষ্য করা যায়নি।
রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ভোটারের উপস্থিত কম।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ও কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অল্প কিছু সংখ্যক ভোটার যারা আসছেন, তারা ভোট দিতে পারছেন।
তবে ভোটাররা জানান, তারা কোনো রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না। সকালবেলা ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের রায়েরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল পৌনে নয়টায় গিয়ে দেখা গেছে, ভোটারের তেমন উপস্থিতি নেই। দু-একজন করে ভোটার আসছেন ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছে না। মোটামুটি নির্বিঘ্নেই ভোট দিতে পারছেন সবাই।
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ইমরান আহমেদ বলেন, এই কেন্দ্রে ভোটার এক হাজার ১২৫ জন। এক-দুজন করে ভোটার আসছেন, তবে আশা করি, দুপুরের দিকে ভোটারের চাপ বাড়বে। ভোট গ্রহণে আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ব্যাপক প্রচারণার কারণে ভোটাররা ইভিএমে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সোয়া ৯টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে ভোটারদের ভিড় নেই।
স্কুলের সামনের মাঠ খালি পড়ে আছে। এ কেন্দ্রে ভবনের তিন তলায় পুরুষ এবং দোতালায় নারী ভোটারদের ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। পুরুষের ভোটগ্রহণের স্থলে কিছুটা ভিড় থাকলেও নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোজাম্মেল হক বলেন, ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে যারা আসছেন তারা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছেন। ইভিএমে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা হচ্ছে না।
সকাল ১০টা পর্যন্ত নৌকার মেয়রপ্রার্থী, কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ৯ জন পোলিং এজেন্টের তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে ধানের শীষের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই বলে জানান দিলকুশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল হোসেন।