সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ষকদের ধরিয়ে দিন। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও অধিবেশনের সমাপ্তি ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সন্ত্রাস ও ধর্ষকদের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ষণকারীরা পশুর চেয়েও খারাপ। আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি, কাউকে-ই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, ধর্ষণকারীদের যেখানেই পাওয়া যাবে, তাদের ধরিয়ে দিন। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ধরিয়ে দিন। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।
আগামী রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান এলে অনেকেই দ্রব্যমূল্য নিয়ে খেলায় মেতে ওঠার চেষ্টা করে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কেউ কোনো সঙ্কটের গুজব ছড়ালে তাতে কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্কিত হয়ে পণ্য মজুদ করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজান উপলক্ষে আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। চীন থেকে যে সমস্ত কাঁচামাল আসছে সেগুলোর ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সর্তক। চীনে সৃষ্ট সমস্যার কারণে বিকল্প পথ খুঁজছি, তাই আতঙ্কের কিছু নেই।
তিনি বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে ব্যাংকে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়নের বেশি, কাজেই চিন্তা নাই। ব্যাংকে টাকা রিজার্ভ রাখা হয় দুর্যোগকালীন সময়ে যেন অন্তত ৩ মাসের খাদ্য সংগ্রহ করা যায়। আমাদের যা আছে তা দিয়ে ৬ মাসের খাদ্য আনতে পারবো, আরও বেশি খাদ্য আনতে পারবো। টাকার কোনো অসুবিধা নাই, সেটা বলতে পারি।
রেমিট্যান্সের বিষয়ে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮ বিলিয়ন রেমিট্যান্স এসেছে। টাকা যদি নাই থাকে তাহলে এসব কাজ কীভাবে করছি? অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। দেশে প্রচুর বিনিয়োগ হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনেয়াগ করতে অনেকেই আসছে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জায়গা।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। অবশ্যই আমরা এখন সিঙ্গাপুর থেকেও অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে আছি-এটা দাবি করতে পারি। আমাদের দেশ বড়, সিঙ্গাপুর ছোট একটি দেশ, বিরোধী দল নেই, শৃঙ্খলার মধ্যে চলে, রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো। আমাদের দেশে সন্ত্রাস অগ্নি-সন্ত্রাস খুন-খারাবি হয় অনেক কিছুই মোকাবেলা করতে হয়।
ডেঙ্গু রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রত্যেকের নিজ নিজ ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে মশা থাকবে না।