ভারতের দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে বিরোধের জের ধরে যে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে, তা বন্ধে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুর কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএনপি বিশ্বাস করে, ভারতের বর্তমান নির্বাচিত সরকার তার দেশের সংবিধানের অন্তর্নিহিত চেতনানুযায়ী ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই চলমান সংকটের সমাধান করবে। এ অঞ্চলের বৃহৎ দেশ হিসেবে এ অঞ্চলের শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভারত সরকার যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করে।’
বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত সরকার কর্তৃক পাস করা বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর পক্ষ ও বিপক্ষ গোষ্ঠীর মধ্যে যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল, তা ইতোমধ্যেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নিয়েছে, সহিংসতায় নিহত ও আহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে।
এতে আরও বলা হয়, বিএনপি গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, নিহত ও আহতদের মধ্যে মুসলমান ও হিন্দু উভয় ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভারতীয়রাই আছেন।
বিবৃতিতে বিএনপি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাসের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া, এই উপমহাদেশ তথা এ অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। এই মর্মে ইতোপূর্বেই সেই উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছিল। যে বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছিল- বহুত্ববাদের আদর্শ থেকে যেকোনও বিচ্যুতি সব ধর্মের মানুষের সমান নিরাপত্তা নিশ্চিতের পথে একটি অনিবার্য বাধা। দিল্লির চলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আবারও তা সুষ্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে প্রমাণ করল।
বিএনপি জানিয়েছে, এ অঞ্চলের শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বরাবরই উদ্যমী। ভারতের প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি তাই সবসময়ই ভারত রাষ্ট্র ও জনগণের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ কামনা করে।