মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে এক শিশু’সহ অন্তত পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে রোববার স্থানীয় এক সংসদ সদস্য এবং দুই অধিবাসী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
রাখাইনের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খিন থু খা এবং আঞ্চলিক এমপি তুন থার সেইন বলেন, শনিবার রাখাইনের ‘এমরাউক ইউ’ শহরের ঐতিহাসিক একটি মন্দির অতিক্রম করার সময় সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। এই হামলার পর সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বেসামরিক হতাহতের ঘটনায় দেশটির সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছেন আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খা।
আরাকান আর্মির ওই মুখপাত্র বলেছেন, রাখাইনের বু তা লোন গ্রামে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর গোলা আঘাত হেনেছে। এমপি তুন থার সেইন, স্থানীয় একজন স্বাস্থ্যকর্মী ও একজন গ্রামবাসী বলেছেন, নিপীড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের কমপক্ষে পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ বছরের এক শিশুও রয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যা ও দমন অভিযানে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, গণহত্যার উদ্দেশ্যে এই অভিযান পরিচালনা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেসময় রোহিঙ্গা নারী, শিশু, তরুণীদের ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যার পাশাপাশি তাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন নিয়ে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সোচ্চার হলেও এখনও রাখাইনে মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতন পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। প্রায়ই সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের খবর প্রকাশিত হয়।