পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে চালু হওয়ার তিন দিনের মাথায় বন্ধের পথে রেলওয়ের লাগেজ ট্রেন। এরইমধ্যে চাহিদা না থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে এই ট্রেন সেবা বন্ধ করা হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ-দেওয়ানগঞ্জ রুটে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আর ঢাকা-যশোর-খুলনা রুটে পণ্যবাহী লাগেজ ট্রেন এখনো চালুই হয়নি।
রেলওয়ের একটি সূত্র মতে, কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কৃষি ও কাঁচাপণ্য পরিবহনের জন্য গত ১ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-যশোর-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ-দেওয়ারগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রেলরুটে লাগেজ ট্রেন চালু করা হয়। তবে পর্যাপ্ত চাহিদা না থাকার কারণে লাগেজ ট্রেন সেবা সীমিত করা হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। শুধু সরকারি খাদ্যপণ্য ও চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানীবাহী মালগাড়ি চলছে।
এই অবস্থায় কৃষি ও কাঁচা পণ্য পরিবহনের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনটি (পার্সেল স্পেশাল-১ ও ২) প্রতিদিনই চলার কথা ছিল। তবে রবিবার পূর্বাঞ্চল রেলের এক চিঠিতে সোমবার থেকে স্পেশাল-১ ও ২ এর যাত্রা বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ-দেওয়ারগঞ্জ রুট পরিবর্তন করে পণ্যবাহী স্পেশাল-৫ ও ৬ ট্রেনটি ঢাকা-ময়মনসিংহ-ভৈরব রুটে চলবে বলেও একই চিঠিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে এই দুই রুটে তিনদিন লাগেজ ট্রেন চললেও কৃষিপণ্য পরিবহনে একটি বুকিংও না পাওয়ার কারণে ঢাকা-যশোর-খুলনা রুটে একদিনও চলেনি বলে রেল সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, যাত্রীবাহী মেইল ও লোকাল ট্রেনে পণ্য ও পার্শ্বেল পরিবহনে বিশেষ বগি থাকে। বিভিন্ন ট্রেন থেকে বগি এনে তা এক সঙ্গে জুড়ে দিয়ে লাগেজ ট্রেন চালানো হচ্ছিল।