ভার্চুয়াল বিচার ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে : প্রধান বিচারপতি

আদালত প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ফাইল ছবি

ভার্চুয়াল বিচার ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

আজ সোমবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বসার পর এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম সফল হলে সপ্তাহের পাঁচ দিনই আপিল বিভাগ বসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় আপিল বিভাগের অপর পাঁচ বিচারপতিও তাঁদের অভিমত তুলে ধরেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সময় যুক্ত ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন।

বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ বসেছে। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত চার মাস বন্ধ ছিল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের বিচার কাজ। এ অবস্থায় নিয়মিত আদালত খুলে দিতে আইনজীবীদের অব্যাহত দাবির প্রেক্ষাপটে আজ সোমবার সকালে বসল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। এই বেঞ্চে আজকের কার্যতালিকায় ২০টি মামলা রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১২ মার্চ স্বশরীরে বসেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। পরদিন ১৩ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় অবকাশকালীন ছুটি। এই ছুটি শেষ হওয়ার আগেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। এ অবস্থায় গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ হয়ে যায়।

এ প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে গত ৯ মে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে গেজেট প্রকাশিত হয়। ওই অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আদালতকে মামলার বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।

পরদিন ১০ মে সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ এবং  আইনজীবীদের জন্য ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করা হয়। এরপর ১১ মে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথমে কেবল সীমিত আকারে নির্দিষ্ট কিছু আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে আদালতের সংখ্যা ও এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে।

আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতসহ সারা দেশে আদালতগুলোতে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বসল।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে