কুয়েতে প্রথমবারের মতো নারী বিচারপতি

কুয়েত প্রতিনিধি

আদালত
ফাইল ছবি

করোনা মহামারীতে বিশ্বব্যাপী নারীরা যখন চাকরি হারাচ্ছেন; অনেকের আয়-রোজগার কমে যাচ্ছে; অনেকে পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য, শোষণ এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, সেসময়ে কুয়েতের নারীদের জন্য একটি সুখবর বয়ে এলো।

উপসাগরীয় রাষ্ট্র কুয়েতে প্রথমবারের মতো বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আট নারী। কুয়েত সুপ্রিম কোর্টে ৫৪ নতুন বিচারপতির মধ্যে ৮ নারী বিচারপতি হলেন- ফাতেমা-আল-সাগির, ফাতেমা-আল-কানডারি, সানাবেল আল-হাউতি, ফাতেমা-আল ফারহান, বাশির শাহ, বাশায়েত আল রাকডন, রাওয়াত আল টাটাবে এবং লুলয়া-আল ঘানিম।

নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কুয়েত উইমেন্স অ্যান্ড সোশ্যাল কালচারাল সোসাইটির প্রধান লুলওয়া সালেহ আল মুল্লা বলেন, বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনে নারীর অধিকার আদায়ে তার সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছিল। বিচারপতি হিসেবে নারীদের নিয়োগ আমাদের কাছে বড় জয়। আশা করছি, পুরুষের চেয়ে নারীরা যে কোনো অংশে পিছিয়ে নন- এবার তা প্রমাণ হবে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেছেন, এ নিয়োগগুলো হৃদয়গ্রাহী। বিশ্বাস করি, আমরা উন্নত দেশগুলোর তালিকার দিকে এগিয়ে চলেছি।

এ প্রসঙ্গে কুয়েতের সুপ্রিম জুডিসিয়াল পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসেফ আল মাতাওয়া জানান, নারী বিচারপতি হিসেবে যারা শপথ নিয়েছেন, তাদের কাজের মূল্যায়ন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কিছুদিন আগে এ কুয়েত-ই রক্ষণশীল দেশ হিসেবে নারীদের গৃহবন্দি করে রেখেছিল। নারীর ঘরের বাইরে বের হওয়া ছিল চরম অপরাধ। এমনকি দেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তারা ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত ছিলেন।

নিজেদের অধিকার আদায়ে আইনি লড়াইয়ে নামেন কুয়েতের নারীরা। অবশেষে ২০০৫ সালে দেশের নারীদের ভোটাধিকারের অধিকার দেয় কুয়েত সরকার। এর চার বছর বাদে ২০০৯ সালে প্রথম নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্য পায় কুয়েত।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে