প্রায় আট বছর ধরে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। এখন ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে রাজি এই কয়েদি। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ভুক্তভোগীর সঙ্গে ওই কয়েদির কারাফটকে বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহী কারা তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দিয়েছে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এর অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
আসামির করা জামিন আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) শুনানির সময় হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ভুক্তভোগীর পক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার সিতানাথ খালকোর ছেলে দিলীপ খালকোর সঙ্গে তার খালাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দৈহিক সম্পর্ক করেন দিলীপ খালকো। এতে খালাতো বোনটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর তাকে আর বিয়ে করতে রাজি হননি দিলীপ খালকো।
২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর স্থানীয় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে হাজির হয়ে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করেন ভুক্তভোগী। এরপর তিনি ২৫ অক্টোবর গোদাগাড়ি থানায় হাজির হয়ে দিলীপ খালকোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই বছরের ১২ জুন এক রায়ে দিলীপ খালকোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে রায় দেয় আদালত।
রায়ের পর থেকে কারাবন্দি দিলীপ সম্প্রতি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে তার আইনজীবী জানান, ভুক্তভোগী আদালতে উপস্থিত আছেন। তারা বিয়ে করতে রাজি। জামিন পেলে তাদের বিয়ে হবে।