আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে ২ দিনের ছুটিতে বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনজীবীদের বিক্ষোভ

ঢাকা আইনজীবী সমিতির এক সদস্যকে দুই ঘণ্টা লক-আপে রাখায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নূরের অপসারণের দাবিতে আদালত বর্জন করে বিক্ষোভ কছেন আইনজীবীরা। তাদের দাবির মুখে বিচারক আসাদুজ্জামান নূরকে দুদিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের গেটের সামনে আইনজীবীরা তার অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াতের আশ্বাসে মূলফটক ছেড়ে দেন আইনজীবীরা।

আইনজীবীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর আইনজীবীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। তিনি অদৃশ্য কোনো শক্তির আশ্রয়ে ঢাকার আদালত পাড়ায় রয়ে গেছেন বলে জানান তারা।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) অনাকাঙ্ক্ষিত একটা ঘটনা ঘটছে। একজন আইনজীবীকে ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর অসম্মান করেছেন। ওই আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান। তার প্রেক্ষিতে আজ আসাদুজ্জামান নূরের অপসারণের দাবিতে সিএমএম মূল ফটক আটকে অবস্থান নিই। এরপর আমরা এ বিষয়ে সিএমএম জুলফিকার হায়দারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তাকে (আসাদুজ্জামান নূর) আপাতত দুদিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছি। মন্ত্রণালয় তাকে বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর আমরা মূল ফটক থেকে সরে এসেছি। এখন আসাদুজ্জামান নূরের প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার এক আইনজীবীকে ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর পুলিশ দিয়ে দুই ঘণ্টা লক-আপে আটকে রাখে। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট যেন আইনজীবীর সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করতে না পারেন সেজন্য আমরা তার অপসারণের দাবিতে সিএমএম আদালতের সামনে অবস্থান নিয়েছি।

ভুক্তভোগী আইনজীবী মোহাম্মদ রুবেল বলেন, গতকাল একটা মামলার শুনানির জন্য আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে যাই। সেখানে গিয়ে কোর্ট কখন উঠবে, পেশকারের কাছে সময় জানতে চাই। এরপর তিনি জানান, সাড়ে ১০টায় কোর্ট উঠবে। কিন্তু বেলা ১১টার দিকেও বিচারক না ওঠায় বিষয়টি পেশকারের কাছে জানতে চাই। পরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিচারক আমার মামলা না শুনে পরে আসতে বলেন। পরে গেলে আমাকে দুই ঘণ্টা লক-আপে আটকে রাখেন এবং বলেন, আমার সনদ বাতিল করে দেবেন এবং সব ম্যাজিস্ট্রেটকে বলে দেবেন, আমার মামলা না শোনার জন্য। আমি বিষয়টিতে চরম অপমান বোধ করছি এবং ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

শেয়ার করুন