মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে দেশে মোট ৮ হাজার ২৬৬ জনের মৃত্যু হলো অদৃশ্য এই ভাইরাসটিতে।
এছাড়া গত একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২৯১ জনের দেহে। শনাক্তের হার ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ৮ দিন ধরে শনাক্তের হার তিন শতাংশের নিচে। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৭৪ জন।
আজ শনিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ২১০টি ল্যাবে ১২ হাজার ৮৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২৯১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ২১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪০ হাজার ২৬৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে করোনায় নতুন করে ১৩ জন মারা যাওয়ায় দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৬৬ জন।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ সাতজন ও নারী ছয়জন। মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ২১ বছরের বেশি বয়স একজনের। এছাড়া ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়স ছয়জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩৭৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।