টসভাগ্যটা প্রথম ওয়ানডের মতোই হয়েছিল। সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। শুরুতে শূন্য রানে ওপেনার লিটন দাসকে ফিরিয়ে দেন পেসার ম্যাট হেনরি।
মনে হচ্ছিল, ডানেডিনের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে আজ। কিন্তু তামিমের অধিনায়কচিত ইনিংসের পর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের দুর্দান্ত এক ফিফটিতে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
ক্রাইস্টচার্চে মঙ্গলবার প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান সংগ্রহ করেছে সফরকারী বাংলাদেশ।
আজ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠল মিঠুনের ব্যাট। দুর্দান্ত এক ফিফটি হাঁকালেন তিনি। ৫৭ বলে ৭৩ রান করে শেষ অবধি মাঠেই ছিলেন।
৬টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কার মার রয়েছে তার এই ঝলমলে ইনিংসে। আজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই।
সর্বোচ্চ রান এসেছে অধিনায়ক তামিমের ব্যাট থেকে। বোকার মতো রানআউট হওয়ার আগে ১০৮ বলে ৭৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তামিম। এ ইনিংসের পর সাকিবকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ফিফটি ও সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেছেন তামিম।
মিঠুন ও তামিম ছাড়াও নৈপুণ্য দেখিয়েছেন গত ম্যাচের ‘ডাকম্যান’ সৌম্য সরকার। আজ ৩ বাউন্ডারি ও একটি ছক্কার মারে ৪৬ বলে ৩২ রান করেছেন তিনি। সৌম্যর চেয়ে ২ রান বেশি করেছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ৩ বাউন্ডারিতে ৫৯ বলে করেছেন ৩৪।
মিঠুনের ফিফটির কিছু পর আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৮ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর সংগ্রহ বাড়িয়ে নিতে ছক্কা হাঁকান মিরাজ। মিরাজ ও সাইফউদ্দিন দুজনে ৭ রান করে জমা করেন।
সবমিলিয়ে জয় পেতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৫.৪২ রানরেটে করতে হবে ২৭২ রান।
ব্যাটিংয়ের শুরুতে বাংলাদেশ শিবিরে ধাক্কা দেন পেসার ম্যাট হেনরি। মাত্র ৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ম্যাট হেনরির করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে এক্সট্রা বাউন্স করা ডেলিভারিতে পুল খেলতে চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকভাবে সংযোগ হয়নি।
যে কারণে ধরা পড়ে যান শর্ট স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো উইল ইয়ংয়ের হাতে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি এ ওপেনার। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে সৌম্যকে নিয়ে কোনো বিপদ ছাড়াই কাটিয়ে দেন তামিম। ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্টকে শূন্য হাতে ফেরান। তামিম-সৌম্য জুটি দেখেশুনে খেলে প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৬ রান তোলে।
পরের দশ ওভারে হাত খুলে খেলেন তারা। বাংলাদেশ পায় ৫৯ রান। ইনিংসের ২১তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের প্রথম বলে উইকেট ছেড়ে এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ে শিকার হন ৪৬ বলে ৩২ রান করা সৌম্য।
দলীয় ৮৫ রানের মাথায় সৌম্যের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ খেলেছিলেন মুশফিক ও তামিম।
কিন্তু ৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোকার মতো রান নিতে গিয়ে আউট হন তামিম। নিশামের ফুটবল স্কিলে ৭৮ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। ৪৮ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙে।
অধিনায়কের উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে নেমে দুর্দান্ত ফিফটি হাঁকান মিঠুন। অপরপ্রান্ত থেকে একে একে বিদায় নেন মুশফিক, রিয়াদ ও মিরাজ। মিঠুন ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন।