আইপিএল: মুম্বাইয়ের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতেই প্রতিশোধ নিলো দিল্লি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রাবাদাকে ঘিরে দিল্লির খেলোয়াড়দে উল্লাস
রাবাদাকে ঘিরে দিল্লির খেলোয়াড়দে উল্লাস। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহিত

আইপিএলের গত আসরে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছিল দিল্লি ক্যাপিট্যালস। কিন্তু তাদের শিরোপাস্বপ্ন ভেঙে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে হেরে। ফাইনালে দিল্লিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলেছিল মুম্বাই।

সেই ম্যাচের পর আজ (মঙ্গলবার) মুম্বাইয়ের মুখোমুখি হলো দিল্লি এবং প্রথম সাক্ষাতেই নিয়ে নিলো ফাইনালের প্রতিশোধ। আসরের ১৩তম ও নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মুম্বাইয়ের মুখোমুখি হয়ে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে দিল্লি, তখনও হাতে ছিল ৫টি বল।

চেন্নাইয়ের মাঠে আগে ব্যাট করে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৭ রানে থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস। জবাবে শিখর ধাওয়ান, স্টিভেন স্মিথ, ললিত যাদব ও শিমরন হেটমায়ারদের সম্মিলিত ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ১৯.১ ওভারে ম্যাচ জিতে নিয়েছে দিল্লি।

রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান পৃথ্বি শ (৭)। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন শিখর ধাওয়ান ও স্টিভেন স্মিথ। তারা দুজন মিলে ৪৭ বলে যোগ করেন ৫৩ রান। ইনিংসের দশম ওভারে দলীয় ৬৪ রানের মাথায় ৩৩ রান করে ফেরেন স্মিথ।

অপরপ্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। তৃতীয় উইকেটে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান ললিত যাদবকে। এ জুটির সংগ্রহ ৩৬ রান। রাহুল চাহারের করা ১৫তম ওভারে ছয় ও চার হাঁকিয়ে দলীয় একশ পূরণ করেন ধাওয়ান। তবে সে ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ম্যাচের সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে এ বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে।

ধাওয়ান ফিরে যাওয়ার সময় ৩১ বলে ৩৮ রান প্রয়োজন ছিল দিল্লির। অধিনায়ক রিশাভ পান্ত আউট হন ৮ বলে ৭ রান করে। ফলে খানিক সংশয় দেখা দিলেও, সেগুলো বড় হতে দেননি ললিত ও শিমরন হেটমায়ার। চারে নামা ললিত ২২ ও হেটমায়ার ১৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ম্যাচ জেতান।

চলতি আসরে এ নিয়ে চার ম্যাচে তৃতীয় জয় পেল দিল্লি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সমান ৬ পয়েন্ট থাকলেও, নেট রানরেটের কারণে টেবিলের দুই নম্বরে রয়েছে তারা। অন্যদিকে চার ম্যাচে দুইটি করে জয়-পরাজয় পাওয়া বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের অবস্থান চতুর্থ।

এর আগে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বাই। দলীয় ৯ রানের মাথায় মার্কাস স্টয়নিসের শিকার হয়ে ফেরেন কুইন্টন ডি কক (২)। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটিতে অবশ্য সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছিল চ্যাম্পিয়নরা।

কিন্তু ১৫ বলে ২৪ করা সূর্যকুমার আভিষ খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হওয়ার পর মড়ক লাগে মুম্বাইয়ের ইনিংসে। নবম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন অমিত মিশ্র। ৩০ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৪৪ রান করে লং অনে স্টিভেন স্মিথের ক্যাচ হন অধিনায়ক রোহিত, এক বল পর একই জায়গায় একই ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দেন হার্দিক পান্ডিয়া (০)।

এরপর টানা দুই ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়া (১) আর কাইরন পোলার্ডও (২) সাজঘরের পথ ধরলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মুম্বাই। ১ উইকেটে ৬৭ থেকে পরিণত হয় ৬ উইকেটে ৮৪ রানে। ১৫ রানে হারায় ৫ উইকেট।

সেখান থেকে ইশান কিশান আর জয়ন্ত যাদবের দুটি উইকেট কামড়ে থাকা ইনিংসের কল্যাণে বড় লজ্জায় পড়েনি মুম্বাই। কিশান ২৮ বলে ২৬ আর জয়ন্ত ২২ বলে করেন ২৩ রান।

দিল্লির বোলারদের মধ্যে অমিত মিশ্র সবচেয়ে সফল। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে বর্ষীয়ান এই লেগস্পিনার নিয়েছেন ৪টি উইকেট।

শেয়ার করুন