রমজানে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা। ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন শেষে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে এবং দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। সারা দেশের দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এ কারণে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, প্রায় সারা দেশেই তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও ঢাকায় অনুভূতিটা একটু বেশি। এর কারণ ছয়টি। তা হচ্ছে— দিনের ব্যাপ্তিকাল রাতের তুলনায় বড় হওয়ায় রাতে তাপ বিকিরণ করে ধরণি ঠাণ্ডা করতে পারে না; সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কম; অতিমাত্রায় এসির ব্যবহার; গাড়ির কার্বন বা কালো ধোঁয়া; ঢাকার আশপাশের ইটভাটার কার্বন; ঢাকাকেন্দ্রিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নিঃসরিত দূষিত পদার্থ। সূর্য মানবসৃষ্ট কারণগুলোকে আরও প্রভাবিত করায় গরম তুলনামূলক বেশি অনুভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, তবে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় অনেকটা রক্ষা। নইলে মানুষের অনেক ঘাম হতো। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো।