বরিশাল সদর উপজেলা চত্বরে ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ‘পরিকল্পিত ছিল’ বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীরা।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় নগরীর সোহেল চত্বরে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এমন অভিযোগ আসে।
সংঘর্ষের ঘটনায় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। এর প্রতিবাদে সমাবেশে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বরিশাল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খালেদা হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি শ্যামলী সাহা, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিগার সুলতানা হনুফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর গায়েত্রী সরকার পাখি, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহানাজ পারভীন মিতা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সালমা আক্তার শিলাসহ অনেকে।
সমাবেশে মহিলা আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে ইউএনও গুলি চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর। কেউ ইউএনওর বাসভবনে হামলা করেনি। যেখানে ইউএনওর বিচার হওয়া উচিত, সেখানে এখন মামলা হয়েছে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
ইউএনও এবং পুলিশের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বক্তারা বলেন, সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া অনেক বড় ষড়যন্ত্র।
তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি, আহতদের সুচিকিৎসা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিচার দাবি করেছেন।
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এদিন বেলা ১১টায় উজিরপুর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উজিরপুরের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম জামাল হোসেন।
বাবুগঞ্জের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেদ হোসেন স্বপন।
বুধবার রাতে বরিশাল নগরের থানা কাউন্সিল এলাকায় বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনীবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় আনসার, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই মামলায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।