মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের অনুকূলে ২৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা বাংলাদেশি টাকায় (৮৫ টাকা দরে) দুই হাজার ১২৫ কোটি টাকা।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটির বোর্ড সভায় এই ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এডিবি।
সংস্থাটি জানায়, এই ঋণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা এবং অবকাঠামোতে সরকারের পরিকল্পিত পাবলিক বিনিয়োগকে সমর্থন করবে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে। এটি দেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যগুলোর সঙ্গেও সংযুক্ত এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে সমর্থন করবে।
এডিবির প্রধান আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ শ্রীনিবাসন জনার্দনম বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের আর্থিক সংস্থানকে সরকারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে ব্যয় এবং অধিক বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেবে। প্রোগ্রামটি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা বাড়াবে। বিশেষ করে দরিদ্র এবং দুর্বলদের জন্য ক্রেডিট অ্যাক্সেসের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ মহামারিতে দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বৃহত্তর কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) মাত্র ২৮ শতাংশ আনুষ্ঠানিক ব্যাংক ক্রেডিটের অ্যাক্সেস পায়। সিএমএসএমই এর জন্য ঋণের অ্যাক্সেস বাড়ানো হলে অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ খাতকে রক্ষা করা সম্ভব হবে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করবে।
সম্প্রতি এডিবি জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে (২০২১-২০২৫) বাংলাদেশকে এক হাজার ২০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে সংস্থাটি। বর্তমান বিনিময় মূল্য হিসাবে টাকার অঙ্কে এ অর্থের পরিমাণ এক লাখ দুই হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।