৪৩ রানের লজ্জায় ডুবেছে বাংলাদেশ

মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ান পেসারদের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের একে একে অসহায় আত্মসমর্পণ। বিশেষ করে কেমার রোচের আগুন বোলিংয়ে ধ্বস নামে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। শুরু হতে হতেই শেষ হয়ে গেলো বাংলাদেশের ইনিংস! মাত্র ১৮.৪ ওভার স্থায়ী হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

রোচের পর মিগেল কামিন্স লোয়ার অর্ডার ছেঁটে দিলে অ্যান্টিগা টেস্টে লজ্জায় পড়ে বাংলাদেশ। একটা সময় তো টেস্ট ক্রিকেটের সর্বনিম্ন স্কোর করার রেকর্ডও চোখ রাঙাচ্ছিল বাংলাদেশের দিকে! তবে সেটা না হলেও টেস্ট ক্রিকেটের ষষ্ঠ সর্বনিম্ন স্কোর গড়ার লজ্জাটা এড়াতে পারেনি সাকিব বাহিনী।

universel cardiac hospital

২০০৭ সালের ৩ জুলাই কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত টেস্টে টাইগারদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।

প্রথম ঘণ্টাতেই পাঁচ উইকেট তুলে নেন কেমার রোচ। এতে ১৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।

তামিম ইকবালকে দিয়ে শুরু। মাত্র ৪ রানেই কেমার রোচের শিকার হয়ে ফেরেন চার হাজারি ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি ওপেনার। এরপর একে একে তার দেখানো পথ ধরেছেন মুমিনুল হক (১), মুশফিকুর রহিম (০), সাকিব আল হাসান (০) আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (০)। সব কটি উইকেটই নেন ক্যারিবীয় পেসার রোচ। ৬ রানেই তিনি তুলে নেন ৫ উইকেট।

সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মাঝে একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন লিটন দাস। তিনিও অবশ্য বড় কিছু করতে পারেননি। ২৫ রান করে মিগুয়েল কামিন্সকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়েছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। এরপর নুরুল হাসান (৪) আর মেহেদী হাসান মিরাজের (১) উইকেটও নেন এই পেসার।

এই রিপোর্ট লেখার সময় ক্যারিবিয়ানরা ৩ ওভারে ৯ রান সংগ্রহ করে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে