ডেস্ক রিপোর্ট
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল (সোমবার) থেকে আন্দোলনে নামলে তার দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিতে হবে। আজ বিকেলে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সভায় তিনি প্রশ্ন রাখেন – ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বোঝাতে হবে। প্রধান শিক্ষক হয়ে যদি শিক্ষার্থীদের বোঝাতে না পারেন তাহলে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন কেন’
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী রোববার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরীর সব কলেজের (সরকারি-বেসরকারি) অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে আন্দোলন করছে তা যৌক্তিক। আমরা তাদের দোষারোপ করছি না। তারা যৌক্তিক দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। শিক্ষা পরিবারের সদস্য হিসেবে আমরা তাদের একা ছেড়ে দিতে পারি না।’
‘শিক্ষার্থীদের অবশ্যই শিক্ষকদের কথা শুনতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মিথ্যা গুজবে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কোনো কোনো মহল এর সুবিধা নিতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের এখন ক্লাসে ফিরতে হবে, ঘরে ফিরতে হবে। তাদের দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। তার বাস্তবায়নে কাজ চলছে।’
‘শিক্ষার্থীরা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে দেশের সড়কে কীভাবে শৃঙ্খলা আনা যায়। কিন্তু এভাবে দীর্ঘদিন চলতে পারে না। যাদের কাজ তাদের করতে দিতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন-শিক্ষার্থীদের এবার ঘরে ফিরতে হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সরকার সজাগ রয়েছে। তাদের কোনো সমস্যা হোক সেটা আমরা চাই না’।
সড়কে চালকরা নিয়ম মানেন না উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, সড়কে অনিয়ম চলছে। তবে পরিবহন খাতে যারা কাজ করে তারা বাইরের কেউ না। তারাও আমাদের দেশেরই জনগণ। তাদের সন্তানরাও রাস্তায় চলাচল করেন। সুতরাং এই অনুভূতি তাদের থাকা উচিত।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপত্বিতে মতবিনিময় সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কলেজ পর্যায়ের ২৪২ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ এবং স্কুলপর্যায়ে প্রায় ৫০০ জন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
