একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ কতটুকু এবং সে চাপ তারা কিভাবে সামাল দিচ্ছে তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল বাড়ছে।
জানা গেছে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করতে উন্নয়ন সহযোগীরা সরকার ও বিরোধী উভয়পক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা ও বিভিন্ন বক্তব্য তারা সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে।
আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে সরব। তারা ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। প্রতিবেশী ভারতও জানিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন একান্ত সে দেশের নিজস্ব ব্যাপার। ভারত এ নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপে বিশ্বাস করে না।
বাইরের দেশগুলোর বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে যখন এই মনোভাব তখন দেশের অনেকেই বিশ্বাস করেন, নির্বাচনের আগে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে একটি সমঝোতা হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর মনোভাব তাদের অনেকেরই আশাভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সাথে আরো একটি একতরফা নির্বাচনের আশঙ্কাও ক্রমে ঘনীভূত হচ্ছে।
সরকার ও বিরোধী দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, উভয়পক্ষই নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থিতা বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রাথমিক জরিপ সম্পন্ন করেছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে ধরে নিয়েই তারা বিতর্কিত ও অজনপ্রিয় প্রার্থীদের তালিকা থেকে বাদ রাখছে। বিএনপি এবং তার জোট শরিকরাও বিজয়ের সম্ভাবনা আছে এমন প্রার্থীদের নিয়েই তালিকা তৈরি করছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হলে যারা বিজয়ী হতে পারবেন তাদেরই তালিকায় রাখা হচ্ছে।
বিএনপি মনে করছে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হবে। আওয়ামী লীগের মনোভাব ঠিক উল্টো। বিএনপি আগামী নির্বাচনে তাদের প্রয়োজনেই অংশ নেবে বলে তারা বিশ্বাস করে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির দাবিগুলোকে আমল দেয়ার পরিবর্তে তারা তাদের চাপে ফেলার কৌশল নিয়েই এগোচ্ছে। তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি একাধিক বিকল্প নিয়েই অগ্রসর হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।