প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের পক্ষে শক্ত অবস্থানে : অর্থমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল কোনও চ্যালেঞ্জই নয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোটা বাতিলের বিষয়ে আমার কিছু কথা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের পক্ষে শক্ত অবস্থানে আছেন। কাজেই কোটা বাতিল হবেই।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) প্রেসিডেন্ট হুমায়ন রশীদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন কোনো কোটা থাকবে না বলে ঘোষণা দেন। গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন হয়। সম্প্রতি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিলের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় এ বিষয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কমিটি। নবম থেকে ১৩তম বেতন গ্রেডের নিয়োগে কোটা তুলে দেয়ার সুপারিশ করেন তারা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করেছিলাম অন্তত মেয়েদের জন্য কোটা থাকবে। কিন্তু কোটাবিরোধী এই যে আন্দোলন, সেখানে কোটা বাতিলের পক্ষে লোকজনের চিৎকার ছিল জোরালো। কাজেই কোটা বাতিল হবে।

নারী কোটা অপরিবর্তিত রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন উল্লেখ করে মুহিত বলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তখন আমাকে বলেছিলেন, আমি আগে বাতিল করবো মেয়েদের কোটা। কারণ এই কোটা বাতিলের পক্ষে তাদের চিৎকার ছিল সবচেয়ে জোরালো।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে বাংলাদেশে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা আছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, জেলা ও নারী কোটা ১০ শতাংশ করে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা পাঁচ শতাংশ এবং এক শতাংশ আছে প্রতিবন্ধী কোটা।

কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে গত ফেব্রুয়রিতে শুরু হয় আন্দোলন। তারা সব মিলিয়ে কোটা ১০ শতাংশ করার দাবি জানায়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে