পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) পোশাকশিল্প খাতকে অস্থিতিশীল করতে একটি সংগঠন ন্যূনতম মজুরি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে সোমবার ‘পোশাকশিল্পের ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান পরিস্থিতি’শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
তৈরি পোশাক শ্রমিকদের জন্য সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা মালিক-শ্রমিক সব পক্ষ মেনে নিয়েছে দাবি করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কিন্তু কিছু শ্রমিক নেতা, এনজিও ও দুষ্কৃতকারী বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পোশাকশিল্প খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএর সভাপতি জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিভ্রান্তি ছড়ানোর।
ওই সংগঠনের নাম উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সংগঠনটি আংশিক সত্য, বিকৃত ও ভুল তথ্যসংবলিত একটি প্রচারপত্র জনসাধারণের মাঝে বিলি করেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘মজুরি কাঠামোতে আমরা মূল মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য ভাতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি করেছি, যাতে করে তারা (শ্রমিকরা) আরও ভালো থাকতে পারেন। সেখানে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন তাদের প্রচারপত্রে বলেছে যে নতুন মজুরি কাঠামোতে মূল মজুরি বৃদ্ধি পায়নি।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রচারপত্রে তারা ১৯৯৪, ২০০৬ সালের মূল মজুরির তুলনা করেছেন, কিন্তু কৌশলে ২০১৩ সালের মূল মজুরির বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। একটি স্পর্শকাতর শিল্প খাত সম্পর্কে এ ধরনের ভুল ও বিকৃত তথ্য পরিবেশনের উদ্দেশ্য কী- তা আমরা জানতে চাই।
এ সময় বিজিএমইএর সভাপতি শিল্পমালিক, ক্রেতা, শ্রমিক, সরকারসহ সবাইকে অপপ্রচারের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর থেকে পোশাকশিল্পের নানা সংকট তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান পোশাকশিল্পের বাস্তবতায় এই মজুরি বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা ৮ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরি মেনে নিয়েছি। ২০১৩ সালেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা নিম্নতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা করেছিলাম।
২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়মিতভাবে ন্যূনতম ৫ শতাংশ হারে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান (বাবু) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।