চট্টগ্রামে জনসভা করার অনুমতি পেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে লালদিঘীর মাঠের পরিবর্তে তাদেরকে নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি নগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রবিরোধী কোনো ধরনের বক্তব্য বা বিবৃতি না দেয়া, ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধের উপর আঘাত হানে এ ধরনের কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করা, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন না করা, ৫টার পর সমাবেশ না করা ইত্যাদি ২৫টি শর্তে জনসভার অনুমতি পায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. আব্দুল ওয়ারিশ খান বলেন, শর্তসাপেক্ষে ঐক্যফ্রন্টকে নাসিমন ভবন প্রাঙ্গনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে যে কোনো সময় অনুমতি বাতিল করা হবে।
নগর বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, আমরা লালদিঘীর মাঠে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গত ২১ অক্টোবর আবেদন করেছিলাম। শুক্রবার সকালে আমাদের বলা হয়েছে, নাসিমন ভবনে আমাদের পার্টি অফিসের সামনে নূর আহমদ সড়কে সমাবেশ করতে পারব।
সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর বেলা ১১টা থেকে চট্টগ্রামে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জরুরি প্রস্তুতি বৈঠকে বসেছেন। নাসিমন ভবনে এই বৈঠক হচ্ছে।
বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি প্রস্তুতি বৈঠক করবে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত থাকবেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ড. কামাল হোসেন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ সমাবেশে উপস্থিত হবেন।
নেতৃবৃন্দ বিমানযোগে চট্টগ্রাম যাবেন। অনেকে ইতোমধ্যে সড়ক পথে রওনা দিয়েছেন।
আইনজ্ঞ ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর গত ২৪ অক্টোবর সিলেটে প্রথম সমাবেশ হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেকটি মহানগর, জেলায় সমাবেশ করতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এই সভা দিয়েই ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।