আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত ৪ নেতা নির্বাচন পরিচালনায়

ডেস্ক রিপোর্ট

দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সান্তনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজে অংশ নিলেন নৌকা প্রতীকের মনোনয়নবঞ্চিত ৪ নেতা। নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ধানমণ্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়টি বৃহস্পতিবার হাসি-কান্না আর স্লোগানে মুখরিত ছিল। হাজারো নেতাকর্মী স্লোগানে প্রাণ ফিরে পান বঞ্চিত নেতারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং দলটির অপর সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। তবে মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে ডেকে নিয়ে তাদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতারা দলের সভানেত্রীর কার্যালয়ে যান। তারা এখন নির্বাচন মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন বলে জানা গেছে।

universel cardiac hospital

বঞ্চিত নেতাদের সান্তনা দেয়ার পরই প্রথম বারের মতো বুধবার দলের ধানমণ্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। তার পরই এক এক করে মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা কার্যালয়ে আসতে থাকেন। যদিও চূড়ান্তের আগে প্রতিদিনই কার্যালয়ে অবস্থান করেছিলেন তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিশাল শোডাউন দিয়ে কার্যালয়ে আসেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। একাদশ নির্বাচনী মনিটরিং কাজে অংশ নিতেই এমন শোডাউন দেয়া হয়েছে- এমনটাই জানিয়েছেন আগত নেতাকর্মীরা।

এ সময় তিনি দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, দলের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে হবে। নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করে নিয়ে আসতে হবে। সবাই এক হয়ে কাজ করার জন্য তার সমর্থকদের তিনি আহ্বান জানান। তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। সেই সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের দু’ চোখে পানি চলে আসে। তার কান্না দেখে উপস্থিত নেতারাও হাউ-মাউ করে কেঁদে দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার তাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আরো কিছু পরামর্শ দেবেন।
তিনি আরো বলেন, ২৩০ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, এদের মধ্যে নতুন ৪৫ জন। প্রত্যাহার পর্যন্ত কত গিয়ে ঠেকে তা দেখতে হবে।
জাহাঙ্গীর কবীর নানকের আসন ছিল ঢাকা-১৩। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন ফরিদপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মঞ্জুর হোসেন বুলবুল।

মাদারীপুর-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাননি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। শরীয়তপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাননি আওয়ামী লীগের অপর সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান বলেন, আমরা এখনো নির্বাচনী মনিটরিং কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্বাচনী মনিটরিং ছাড়াও অন্য কাজ দিলেও আমরা সেটি করব।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে