অর্থছাড়সহ নানা জটিলতা ও উচ্চ আদালতের নির্দেশের আড়াই বছর পর অবশেষে আজ সোমবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর উভয় পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম। উচ্ছেদ অভিযানের সব প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কর্ণফুলীকে সচল রাখতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের বিকল্প নেই বলে মনে করেন নদী গবেষকরা। এদিকে, ভূমিমন্ত্রী আশা করছেন, অর্থ সমস্যার সমাধান হওয়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রম সফল হবে।
দখল আর দূষণে বিপর্যস্ত দেশের কর্ণফুলী নদী। কোনো রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নদীর দই পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করেছিল জেলা প্রশাসন।
জরিপের কাজ শেষে দুই হাজার ১১২টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করলে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলীকে দখলমুক্ত করতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেয়।
এরপর উচ্ছেদ অভিযান চালাতে টাকার জন্য কয়েকবার ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলে ও তেমন কোনো সাড়া মেলেনি। তবে অর্থ বরাদ্দ ছাড়ে এবার মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমান মুক্ত বলেন, চট্টগ্রামের জনসাধারণসহ সরকারের সকল জায়গায় থেকে এটি সমর্থন রয়েছে এবং আমরা বিশ্বাস করি চট্টগ্রামের যে লাইফ লাইন সেটা রিকোভার করতে পারবো।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কোন বিকল্প নেই বলে জানান নদী গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।
তিনি বলেন, অর্থনীতির চাকা যদি সচল রাখতে চাই। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে বাসযোগ্য রাখতে চাই। তাহলে অবৈধ দখল মুক্ত করতে হবে।
এদিকে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ জানান, উচ্ছেদে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
দীর্ঘদিন পর শুরু হতে যাওয়া উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনাহীন কর্ণফুলী তীর প্রতিষ্ঠা আলোর মুখ দেখবে বলে প্রত্যাশা চট্টগ্রামবাসীর।