খাঁটি স্বর্ণ চেনার ঘরোয়া উপায়

এস. এম. আতিয়া

ফাইল ছবি

খাঁটি স্বর্ণ চেনা আসলে একটি কঠিন ব্যাপার। কারণ আমাদের শপিংয়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থাকলেও সচরাচর স্বর্ণ কিনতে গেলে একটু হিসাব কষতে হয়। কারণ স্বর্ণের দাম অনেকের সাধ্যের বাইরে। যা কিছুই হোক না কেন, খাঁটি স্বর্ণ চেনা দরকার। বিয়ে, জন্মদিন ও প্রিয়জনের জন্য স্বর্ণের যে কোনো উপহার হতে পারে অবাক করার বিষয়। অনেকে খরচ বাঁচাতে গিয়ে স্বর্ণকারদের ফাঁদে পড়ে নকল স্বর্ণ কিনে ফেলেন। আসুন, জেনে নিই খাঁটি স্বর্ণ চেনার কিছু সহজ উপায়-

২৪ ক্যারেট : আসল স্বর্ণ ২৪ ক্যারেটের। তবে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ দিয়ে গহনা তৈরি হয় না। কারণ এটা এত নরম হয় যে, গহনা তৈরি করা সম্ভব হয় না। গহনা তৈরির জন্য মূলত ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে ৯১.৬৬ শতাংশ স্বর্ণ থাকে।

universel cardiac hospital

স্বর্ণে লোহা মেশানো : স্বর্ণে যদি লোহা মেশানো থাকে, তাহলে চুম্বক ধরলেই সেটা টেনে নেবে। লোহা মেশানো আছে কি-না, তা চুম্বক ব্যবহার করে অবশ্যই পরখ করে নিন।

রাসায়নিক ও অ্যাসিড : বাজারে কিছু রাসায়নিক এবং অ্যাসিড আছে, যেগুলো ব্যবহার করে স্বর্ণের গুণগত মান যাচাই করা সম্ভব। ওই রাসায়নিক বা অ্যাসিড খাঁটি সোনার সংস্পর্শে এলে কোনো রকম বিক্রিয়া হয় না।

সাদা চিনামাটির প্লেট : সাদা চিনামাটির একটি প্লেটের সাহায্যে আপনি স্বর্ণ যাচাই করে নিতে পারেন। স্বর্ণের গহনা চিনামাটির প্লেটে ঘষে দেখুন। যদি প্লেটে কালো দাগ পড়ে তা হলে বুঝতে হবে স্বর্ণ নকল। আর যদি হালকা সোনালি রঙ পড়ে তা হলে বুঝতে হবে সেটা আসল।

দুই গ্লাস পানি : একটি গভীর পাত্রে দুই গ্লাস পানি নিন। তাতে কিনে আনা স্বর্ণের গহনা ফেলে দেখুন সেটা ভাসছে কি-না। যদি ভাসে তা হলে বুঝতে হবে সেটা নকল।

কামড় : হালকা কামড় দিয়ে ধরে রাখুন। যদি আসল হয় তা হলে স্বর্ণের ওপর কামড়ের হালকা দাগ পড়বে।

ঘাম : ঘামের সংস্পর্শে এলেও আসল স্বর্ণে কখনো ঘামের গন্ধ ধরে না। যদি ঘামের গন্ধ ধরে তা হলে বুঝতে হবে এটি খাঁটি স্বর্ণ নয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে