রাজউক কর্মচারীর ১১ বছরের কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট

ছবি : সংগৃহিত

বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন-সংক্রান্ত ৫৭টি নথি গায়েব করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মচারী মো. শফিউল্লাহকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পেয়েছিলেন শফিউল্লাহ।

universel cardiac hospital

আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন এ কে এম ফখরুল ইসলাম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজউকের সাবেক ইস্যু ক্লার্ক (বর্তমানে স্টেট সেকশনের স্টেনো ক্লার্ক) মো. শফিউল্লাহ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজউকের বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন-সংক্রান্ত ৫৭টি নথি অথরাইজড অফিসার-১ ও ৩-এর দপ্তরের রেকর্ডরুমে প্রেরণ না করে সেগুলো গায়েব করেন।

এই অভিযোগে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার আখেরুজ্জামান।

২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালত নির্দোষ প্রমাণে তাঁকে খালাস দেন। পরের বছরের ৭ এপ্রিল এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করে দুদক। রোববার হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

আদালত রায়ে শফিউল্লাহকে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে