আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রনে চলে যেতে পারে মিয়ানমারের পাঁচ শহর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ছবি : সংগৃহিত

মিয়ানমারের রাজ্য পার্লামেন্টের সামরিক প্রতিনিধি মেজর থেত ও মং অঞ্চলটিতে সামরিক বাহিনীর ওপর আরাকান আর্মি’র সাম্প্রতিক হামলার ঘটনাসমূহ পর্যালোচনা করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় পাঁচটি শহর দখলের পরিকল্পনা করছে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। 

রাখাইন পার্লামেন্টে পেশকৃত এক প্রস্তাবে তিনি বলেন, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে রাখাইনের পেলেতোয়া, কিয়াকতো, মারুক-উ শহর দখল করার পরিকল্পনা করছে সশস্ত্র এ দলটি । এটিকে ‘২০২০ আরাকন ড্রিম’ বলা হচ্ছে। তিনি আরাকানবাসীর প্রতি সামরিক অভিযানে সমর্থন দেয়ার জন্যও আহ্বান জানান। – সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় আরাকান রাজ্যের জাতি ও ধর্মকে সুরক্ষিত রেখেছে। মুসলিম হামলা থেকে আরাকানবাসীকে সুরক্ষা দিয়ে যাচেছ। 

বুথিডং ও মংডু টাউনশিপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আরাকান আর্মি (এএ) ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’কে সমন্বিতভাবে মাইয়ু অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে। 

কিন্তু সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে এএ নেতারা। আরাকান আর্মি’র মুখপাত্র উ খিন থুখা সেনা এমপি’র এ প্রস্তাবকে হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, আরাকানবাসী সেনাবাহিনীর পাশে নাকি এএ’র পাশে থাকবে তা যাচাইয়ের জন্য আরাকানে গণভোটের আয়োজন করা হোক। তা না করে পার্লামেন্টে বসে আরাকানের জনগণের মন ভেজানোর চেষ্টা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

গত মঙ্গলবার তিনটি জায়গায় এএ’র হাতে সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পর মেজর মংয়ের ওই বিবৃতি প্রকাশ পায়। জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র মারাউক-উ’র কাছে ওইসব সংঘর্ষ হয়। 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে