ডাকসু নির্বাচনের বাকী আছে আর মাত্র একদিন। প্রচারণার শেষ সময়ে এসে আজ শনিবার ১৫ দফা ইশতেহার দিয়েছে ছাত্রদল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে প্যানেলের পরিচিতি সভায় সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।
এদিকে, আগামীকাল রোববার সকালে শেষ হচ্ছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার সময়। ফলে বিভিন্ন প্যানেলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণা চালাচ্ছেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্ররা। হাতে সময় কম থাকায় সকাল সকাল প্রচারণায় নেমে পড়েন প্রার্থীরা।
ডাকসুর ২৫ পদে ২২৯ আর ১৮টি হল সংসদে ৫০৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৪৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
ছাত্রদলের অঙ্গীকারে যা রয়েছে :
ডাকসু নির্বাচনের মূল ভিত্তি হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে আধিপত্য ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ ও সচল করা হবে পরিবেশ পরিষদ; আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মাণ ও পুরাতন হল সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রথম বর্ষ থেকেই আসন বণ্টন হবে মেধার ভিত্তিতে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সম্পূর্ণরূপে আধুনিক ও বিশ্বমানে গ্রন্থাগারে রূপান্তর এবং পরিপূর্ণ ডিজিটালাইড করে শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ এবং হল গ্রন্থাগার সমূহকে সমৃদ্ধ করা।
শিক্ষার্থীদের পরিবহণ সংকট নিরসনে বাসের সংখ্যা ও রুট বৃদ্ধি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অভ্যন্তরীণ পরিবহণ ব্যবস্থা’চালু করা; বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের ক্যান্টিনগুলোতে খাবারের মান বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে ডাকসুর মাধ্যমে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা; শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধ ও শিক্ষা ব্যয় কমানোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা; শিক্ষার্থীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা; ছাত্রী হলগুলোতে প্রবেশের সময়সীমা রাত ১১টা পর্যন্ত বর্ধিত করা এবং কমনরুমগুলোর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি।
এমফিল, পিএইচডিসহ সকল গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি; প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বিনির্মাণে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা এবং একাডেমিক ভবন ও হলসহ সমগ্র ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা; ভর্তি ও একাডেমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধ ও রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ রোধে ডাকসু সর্বদা সোচ্চার থাকবে; শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীলতা বিকাশে সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং এক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি; ১৪. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণে তাদের যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়ন এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিবে ডাকসু।