বৃহস্পতিবার দুপুরে ২২ তলা এই ভবনে আগুন লাগার পর প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়ে এবং কেবল বেয়ে নামার সময় পড়ে অনেকে হতাহত হন।
রাতে ফায়ার সার্ভিস এই অগ্নিকাণ্ডে ১৯ জন নিহত এবং ৭৬ জন আহতের খবর জানায়।
এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নয়টি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সাতটি এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনটি লাশ থাকার কথা জানানো হয়।
কুর্মিটোলায় হাসপাতালে থাকা সাতটি লাশের একটি শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস ভিগ্নেরাজার। তিনি এই অগ্নিকাণ্ডে নিহত একমাত্র বিদেশি। ২৮ বছর বয়সী নিরস স্ক্যানওয়ে লজিস্টিক লিমিটেড নামে একটি কার্গো পরিবহন কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ছিলেন।
নাহিদুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা নামে আরও দুজনের লাশ শনাক্ত হয়েছে কুর্মিটোলায়। নাহিদ ওই ভবনে থাকা হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেসের সেলস এসিস্টেন্ট ম্যানেজার ছিলেন। জেবুন্নেসাও চাকরি করতেন একই প্রতিষ্ঠানে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেসের একাউন্ট ম্যানেজারের লাশও উদ্ধার করা হয়েছে ভবনটি থেকে।
এছাড়া সালাউদ্দিন নামে, আরেকজনের লাশ ছিল কুর্মিটোলায়। তার বাসা ঢাকার মগবাজারে।
আসিফ ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম রাজুর লাশও যায় কুর্মিটোলায়। তার বাড়ি বাড়ি চাঁদপুর।
কুর্মিটোলা হাসপাতালে থাকা বাকি দুটি লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থাকা সাতটি লাশের মধ্যে একজন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ফজলে রাব্বি (২৭)। তিনি ইইউআর সার্ভিস বিডি লিমিটেডে কাজ করতেন।
এছাড়া আনজির আবির (২৪) নামে আরেকজনের লাশও রয়েছে মর্গে। তার বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রামে।
ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয় ইইউআর সার্ভিস বিডি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক ছিলেন আবদুল্লাহ আল-ফারুককে। ৩২ বছর বয়সী ফারুকের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়।
জরুরি বিভাগে রুমকি আক্তার (৩০) নামে এক নারীর লাশও শনাক্ত করেন তার স্বজনরা।
হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেসের কর্মী রুমকির স্বামী মাকসুদুর রহমানের লাশ ইউনাইটেড হাসপাতালে শনাক্ত করেন তার খালাত ভাই ইমতিয়াজ।
মাকসুদ ও রুমকি পুরান ঢাকার ফরিদাবাদে থাকতেন। তাদের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকায়। তারা দুজনই হেরিটেজ এয়ারে কাজ করতেন।
ইউনাইটেড হাসপাতালে থাকা মাকসুদসহ তিনজনের লাশই রাত ১১টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের উপস্থিতিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই তাদের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিকী।
এদিকে ভাটারা থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, অ্যাপোলো হাসপাতালে থাকা একজনের মৃতদেহ তার স্বজনের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।