শিল্প মন্ত্রণালয় দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দেশে প্রথম জাতীয় শিল্প মেলার আয়োজন করছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৩১ মার্চ (রোববার) সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘প্রথম জাতীয় শিল্প মেলা ২০১৯’ উপলক্ষে আজ শনিবার মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয় ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন কর্পোরেশন ও সংস্থার প্রধানরা।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন মেলা হয়ে থাকে। কিন্তু এবারই প্রথম জাতীয় শিল্প মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা থাকলেও এ মেলার মূল উদ্দেশ্য- দেশে বিনিযোগ বাড়ানো। আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্পত্তিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আছে। বিনিয়োগকারীরা আমাদের কাছে আসলে আমরা তাদের এ সুবিধাগুলো দিতে পারব।
তিনি বলেন, এ মেলা দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য এবং সেবা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার, প্রসার, বিক্রয় ও বাজার সম্প্রসারণে সহায়তা করবে। এ ছাড়া বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র, কুটির, হস্ত ও কারু এবং হাইটেক শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, যোগাযোগ এবং সেতুবন্ধন তৈরিতে সহায়তা করবে। সর্বোপরি শিল্প খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।
এই মেলায় সারাদেশ থেকে বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র, কুটির, হস্ত ও কারু এবং হাইটেকসহ মোট ৩০০ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। তারা ৩০০টি স্টলে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করবে। এদের মধ্যে ১১৬ জন নারী উদ্যোক্তা এবং ১০৭ জন পুরুষ উদ্যোক্তা রয়েছেন। অর্থাৎ মেলায় ৫২ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করছেন।
মেলা উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হবে। ৩১ মার্চ শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলার কার্যক্রম চলবে। মেলায় কোনো প্রবেশ মূল্য থাকবে না।
