চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিভারপুলের সহজ জয়

ক্রীড়া ডেস্ক

লিভারপুল
ম্যাচজুড়ে ফিরমিনো ছিলেন অনন্য। ছবি: এএফপি

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোর্তোকে নিয়ে ছেলেখেলা খেলেছে লিভারপুল। লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ অমন সব মিস না করলে গোলসংখ্যা আরও বাড়ত নিশ্চিত! ম্যাচের শুরুতেই কেইতার গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভারপুল দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় প্রথমার্ধেই।

চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পোর্তোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। লিভারপুলের হয়ে একটি করে গোল করেছেন নাবি কেইতা ও রবার্তো ফিরমিনো।

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোর্তোকে নিয়ে ছেলেখেলা খেলেছে লিভারপুল। লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ অমন সব মিস না করলে গোলসংখ্যা আরও বাড়ত নিশ্চিত!
ম্যাচের শুরুতেই কেইতার গোলে এগিয়ে যাওয়া লিভারপুল দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় প্রথমার্ধেই। ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিরমিনো। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগের খেলায় ২-০ গোলের জয় পেয়েছে স্বাগতিকেরা।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই অতিথিদের বুকে ছুরি চালিয়ে বসেন মিডফিল্ডার নাবি কেইতা। মিলনার লম্বা করে বল বাড়ালেন ফরোয়ার্ড সাদিও মানেকে। এক এক করে পোর্তোর রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে ডি বক্সে ফিরমিনোকে বল বাড়িয়ে দেন মানে। ফিরমিনো বল পেয়েই সেটা বাড়িয়ে দেন কেইতার দিকে। কেইতার শটে দর্শক বনে যান ক্যাসিয়াস।

১৮তম মিনিটে মানের বাড়ানো বলে ডি বক্সের বাইরে থেকে সালাহর দুর্বল শট আটকে দেন পোর্তোর গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। মিনিট তিনেক পর ক্যাসিয়াসকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ লিভারপুলের মিসরীয় এই তারকা। এমন সহজ সুযোগ সালাহ আরও হাতছাড়া করেছেন পুরো ম্যাচে। সালাহর এসব মিস অ্যানফিল্ড ঠাসা লিভারপুল সমর্থকদের হতাশ করেছে বারবার। তাঁরা আশায় বুক বেঁধে এসেছিলেন—সালাহকে সালাহর মতো দেখবে বলেই। সালাহ ব্যর্থ হলেও লিভারপুল খেলেছে দুর্দান্ত।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই অতিথিদের বুকে ছুরি চালিয়ে বসেন মিডফিল্ডার নাবি কেইতা। মিলনার লম্বা করে বল বাড়ালেন ফরোয়ার্ড সাদিও মানেকে। এক এক করে পোর্তোর রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে ডি বক্সে ফিরমিনোকে বল বাড়িয়ে দেন মানে। ফিরমিনো বল পেয়েই সেটা বাড়িয়ে দেন কেইতার দিকে। কেইতার শটে দর্শক বনে যান ক্যাসিয়াস।


২৬তম মিনিটে ফিরমিনো নিজেই বল জালে জড়ান। ডি বক্সের ভেতর আলেক্সান্ডার আর্নোলডের নিচু ক্রসে ক্লিনিক্যাল ফিনিশ করেন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। ৩৪তম মিনিটে ফিরমিনো গোলের সুযোগ পান আরও একবার। তবে সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। এ যাত্রায় বেঁচে যায় পর্তুগীজ ক্লাবটি। 
দ্বিতীয়ার্ধে পোর্তো বলের দখল নিয়ে খেলার চেষ্টা করলেও তাদের রক্ষণের দুর্বল চেহারা বারবার বের হয়ে আসে। যদিও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন ২-০তেই থেকে যায়। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইপিএল-এর টেবিল টপাররা। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত শুরু হলো ইংলিশ জায়ান্টদের।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে