ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি পর্বতারোহী দল তুষার মানব ‘ইয়েতি’র পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছে বলে টুইট বার্তায় ছবিসহ জানিয়েছে। এ বার্তা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলেছে।
চলতি মাসের ৯ তারিখে ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি পর্বতারোহী দল ইয়েতির পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছে। নেপালের মাকালু বেস ক্যাম্পের কাছাকাছি দেখা গিয়েছে এটি। দানবাকৃতির এই পায়ের ছাপের মাপ ৩২X১৫ ইঞ্চি বলে টুইট বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। অতীতে রহস্যময় প্রাণী ইয়েতিকে কেবলমাত্র বরফে ঢাকা মাকালু-বারুন ন্যাশনাল পার্কের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ইয়েতির বর্ণনা দিতে যেয়ে ইন্টারনেট ভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে, তুষারমানব বা ইয়েতি হিমালয় অঞ্চলের কল্পিত প্রাণী। একে মানুষের মত দ্বিপদী বলে মনে করা হয়। ‘ইয়েতি’ কথার অর্থ “পাথুরে ভাল্লুক।” এছাড়া ‘মানুষ-ভল্লুক’ বা ‘মেহ-তেহ, ‘বন্য মানব’ বা ‘মি-গো, ‘তুষারমানব’ বা ‘ক্যাং আদমি’ কিংবা ‘মানুষখেকো’ বা ‘জোব্রান’হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
ইয়েতিকে অনেকে নরবানর জাতীয় প্রাণী হিসেবে মনে করেন। উত্তর আমেরিকার ‘বিগ ফুট’ বা ‘বড় পা’ওয়ালা হিসেবে পরিচিত কল্পিত প্রাণীর কিংবদন্তির সঙ্গে ইয়েতির কল্প-কাহিনীর মিল রয়েছে। নেপাল, চীন, ভারত , বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মানুষ ইয়েতির অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন। মনে করা হয় এই প্রাণী চমরী গাইয়ের মতো বিশাল প্রাণীকে অনায়াসে তুলে নিতে পারে।
১৮৩২ সালের দিকে অভিযাত্রী হাডসনের বর্ণনার পর ইয়েতির ব্যাপারে সারা বিশ্ব আগ্রহী হয়ে ওঠে। এরপর ১৮৯৯ সালে লরেন্স ওয়েডেল নামের এক অভিযাত্রী দাবি করেন তিনি ইয়েতির পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন।