মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহ দিতে প্রথমবারের মতো ‘রিল হান্ট’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জিপি হাউজে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় সেখানে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে প্রথম পুরস্কারটি জিতে নিয়েছে নোয়া: দ্য স্কাই অব হোপ এর চলচ্চিত্র ‘প্রতিশোধ’।
উৎসবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে থ্রি ফিল্মসের, ‘আগন্তুক’ ও অঙ্কুর ক্রিয়েশনের ‘সাহেব বিবি’।
প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান অর্জনকারী দলকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ১,০০,০০০ টাকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলগুলোকে দেওয়া হয় যথাক্রমে ৭৫,০০০ ও ৫০,০০০ টাকা।
এছাড়া বিজয়ী তিনটি দলের চলচ্চিত্র প্রচার করবে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বায়োস্কোপ’।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজ দর্শকদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ করে দিতে এবং দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে ‘রিল হান্ট’ শিরোনামে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে গ্রামীণফোনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘হোয়াইটবোর্ড’।
প্রথমে ৬৭৪টি দল তাদের এসাইনমেন্ট জমা দেয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেছে নেয়া হয় ‘বায়োস্কোপ’ প্ল্যাটফর্মের উপযোগী ৩৫টি ছবি। নির্বাচিত দলগুলোকে ২০ এপ্রিল সারাদিনব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ক কর্মশালা করানো হয়।
এতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন গাউসুল আলম শাওন, আশফাক নিপুণ ও রাহাত রহমান।
নির্বাচিত ৩৫ জন অংশগ্রহণকারী ছাড়াও তাদের পুরো দলকেই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এই বুটক্যাম্পে। প্রতিযোগীতার চূড়ান্ত পর্বের অংশ হিসেবে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সবগুলো দল তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ। অতিথিদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ইরেশ যাকের ও আশফাক নিপুণ।
নতুন নির্মাতাদের বেড়ে উঠতে সহায়তা করবে ‘রীল হান্ট’
‘রীল হান্ট’ আয়োজন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয়ে দেশের বিনোদন শিল্পে স্থান করে নিচ্ছে নতুন প্রতিভাসম্পন্ন নির্মাতারা। ‘রীল হান্ট’ এর মতো একটি প্ল্যাটফর্ম এই নতুন নির্মাতাদের বেড়ে উঠতে সহায়তা করার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে পুরো ইন্ডাস্ট্রিকেই ধাবিত করবে এক নতুন ভবিষ্যতের দিকে।’
সেরা সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের খুঁজে বের করবে গ্রামীণফোন
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি খাতে স্থানীয় তরুণ প্রতিভারা শুধুমাত্র জাতীয় পর্যায়েই সুনাম অর্জন করছে না, বরং বিশ্বমঞ্চেও আলো ছড়াচ্ছে। ‘রিল হান্ট’ এমনই এক উদ্যোগ যার মাধ্যমে দেশের সেরা সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের খুঁজে বের করবে গ্রামীণফোন। আমি বিজয়ীদের পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।’
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোণের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সৃজনশীল কাজসমূহ প্রচারের জন্যেও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো এক অবিচ্ছেদ্য মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। ‘রিল হান্ট’ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এই নতুন প্রতিভাবান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজগুলোকে সমগ্র দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে চাই।’