মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যায় ব্যবহৃত আরেক বোরকা উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট

নুসরাত জাহান রাফি
নিহত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। ফাইল ছবি

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দেওয়ার সময় ব্যবহৃত আরেকটি বোরকা আজ শনিবার উদ্ধার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকৃত বোরকাটি হত্যাকাণ্ডের সময় পরেছিলেন মামলার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বোরকা উদ্ধারের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রিমান্ডে থাকা মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও জাবেদ হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে তাদের দুজনকে নিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আসে পিবিআই।

এ সময় অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার পুকুর থেকে শাহাদাত হোসেন শামীমের পরিহিত বোরকাটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ সময় পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, পরিদর্শক মো. মোনায়েম হোসেন, পরিদর্শক লুৎফুর রহমানসহ প্রশাসানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের দুজনকে ফেনীর আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল দুপুরে অপর আসামি যোবায়ের হোসেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোনাগাজী সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে ডাঙ্গির খাল থেকে আরেকটি বোরকা উদ্ধার করা হয়।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন সিরাজ উদ দৌলা।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। সেখানে মাদ্রাসার এক ছাত্রী তাকে জানান, তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কে বা কারা মারধর করছে। এ কথা শুনে রাফি ওই ভবনের চারতলায় ছুটে যান। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে