বাজেটের মজা পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে : অর্থমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

বাজেট
ফাইল ছবি


“শেয়ার মার্কেট নিয়েও বাজেটে কথা থাকবে। সকল সেক্টর নিয়ে কথা থাকবে। তবে নির্দিষ্ট করে এ মুহূর্তে কোনো কথা বলা যাবে না।”

আগামী বাজেটের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলার সময়ে এখনও আসেনি। অপেক্ষা করেন। বাজেটের মজা পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

আগামী বাজেট অর্থমন্ত্রী হিসেবে আপনার প্রথম বাজেট, এ বাজেটে কোন কোন খাতে অগ্রাধকার দিচ্ছেন- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই সাংবাদিককে উদ্দেশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের অগ্রাধিকার হচ্ছেন আপনি। আপনাকে অগ্রাধিকার দিয়েই বাজেট প্রণয়ন হবে। দেশের সকল মানুষের জন্য বাজেট। এবং দেশের মানুষকে প্রাধান্য দিয়েই বাজেট তৈরি করব। দেশের উন্নয়ন হয়, প্রত্যেকটি মানুষের যেন উপকারে আসে এবং প্রত্যেকটি সেক্টরকে আরও বিকশিত করার মতো করে বাজেট দেব।

দেশের ব্যাংকিং সেক্টর ও শেয়ারবাজারের জন্য কী থাকছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকি সেক্টরের জন্য উপযোগী যা দরকার সব থাকবে। শেয়ার মার্কেট নিয়েও বাজেটে কথা থাকবে। সকল সেক্টর নিয়ে কথা থাকবে। তবে নির্দিষ্ট করে এ মুহূর্তে কোনো কথা বলা যাবে না। কারণ বাজেট বিষয়ে কথা বলার নির্দিষ্ট সময় আছে সে সময় এখনও আসেনি।

  • ৪ কোটি মধ্য আয়ের মানুষ থাকলেও ট্যাক্স দেয় ২৪ লাখ
  • আগামীতে ট্যাক্স না দিয়ে কেউ থাকতে পারবে না
  • শেয়ার মার্কেট নিয়েও কথা থাকবে বাজেটে

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়নে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বাস্তবায়নেই মূল চ্যালেঞ্জ। অর্থের কোনো অসুবিধা নয়। বাজেট ঘাটতি হবে ৫ শতাংশ। এটা গতবারও ছিল, তার আগেরবারও ছিল। এটা স্ট্যান্ডার্ড।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এখনই বাজেট নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার কিছু নেই। কারণ বাজেটে সবারই চাহিদা আছে। সবার চাহিদা পুরণ করতে আমারা চেষ্টা করব। তারপারও শতভাগ পুরণ কারা সম্ভাব নয়, এটা আপনারা ভালো করেই জানেন। রাজস্ব আহরণ করতে হবে। তারপর প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অভিমতে দুর্নীতি কমানো গেলে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভাব হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, এদেশে ৪ কোটি মধ্য আয়ের মানুষ আছে। সেখানে ট্যাক্স দেয় ২৪ লাখ। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ যা বলেছে সত্য কথা বলেছে। চার কোটি মানুষ ট্যাক্স দিলে আমাদের ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত অনেক বেড়ে যেত। এখন যেটা মাত্র ১০ শতাংশ।

তিনি বলেন, তবে আগামীতে ট্যাক্স না দিয়ে কেউ থাকতে পারবে না। যারা দিয়েছে তারা ট্যাক্স দেবে, যারা দেয়নি তারাও দেবে। এমন ব্যবস্থাই করা হবে।

খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের বিষয়টি বাজেটে নয় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমেই দেয়া হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। কাছাকাছি সময়ের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে