গাজা থেকে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রটিতে ৬৯০টি রকেট ছোঁড়া হলেও ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম মাত্র ২৪০টি ভূপাতিত করতে পেরেছে।
হামাস ও ইসরাইল সপ্তাহ শেষে লড়াইয়ের পর অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছালেও ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির বাসিন্দারা। খবর ইসরাইল ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের।
লড়াইয়ের সময় গাজা থেকে ইসরাইলে ৭ শতাধিক রকেট ছুঁড়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসলামিক জেহাদ। এতে ৪ ইসরাইলি নাগরিক নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি দৈনিক হারের্ৎজের খবরে বলা হয়েছে, গাজা থেকে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রটিতে ৬৯০টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। কিন্তু ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম তার মধ্যে মাত্র ২৪০টি ভূপাতিত করতে পেরেছে।
রকেট প্রতিরোধের ব্যর্থতা ও হতাহতের ঘটনার পর আয়রন ডোমের অকার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এছাড়া আয়রন ডোমর সক্ষমতা পাশ কাটিয়ে যেতে হামাস ও ইসলামিক জেহাদ কোনো উপায় খুঁজে পেয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে সাত শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করেছে হামাস।
প্রতিরোধ সংস্থাটির ইজ আদ-দিন আল কাসেম ব্রিগেডের একজন মুখপাত্র বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, তথাকথিত আয়রন ডোমকে পাশ কাটিয়ে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপে কাসেম ব্রিগেড সফল হয়েছে। হামলার তীব্রতা ও তাদের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার কারণে শত্রুদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংসের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ইসরাইলের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াকভ আমিদর বলেন, আয়রন ডোমের আওতার মধ্যে বড় ধরনের ব্যবধান ছিল। বিশেষ করে যখন সীমান্তের অল্প কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে স্বল্প-পাল্লার রকেট গিয়ে আঘাত হানে।
তিনি বলেন, এ ধরনের রকেট অকার্যকর করে দিতে আমাদের যথেষ্ট সময় ছিল না। তিনি বলেন, রোববার কিববুটজ ইয়াদ মোরডেচাই অঞ্চলে একটি গাড়িতে রকেট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে এক ইসরাইলি চালক নিহত হন। এক্ষেত্রে আয়রন ডোম কোনো কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেনি।
আমিদর বলেন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দৃষ্টিকোন থেকে সেখানে কোনো লোকজন ছিল না। কাজেই এমন রকেট আমরা ধ্বংস করে দিতে পারিনি।