হাইকোর্ট উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই রুল জারি করেন।
জানা যায়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, নারী ও শিশু সংক্রান্ত সচিব, সমজকল্যাণ সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্নিষ্ট ১৮ জন বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করা হয়।
শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৫ মে ওই রিট নিষ্পত্তি করে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞাসহ যৌন হয়রানি রোধে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
- পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হলো ত্রিপক্ষীয় সভা
- ১১ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু
- ভোটের অধিকার চাইতে গিয়ে খালেদা জিয়া জেলে : গয়েশ্বর
রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ কেন্দ্র গঠন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতিত ও অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ না করার কথাও বলা হয়েছে।
রায়ের ওই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন না হওয়ায় গত ২৯ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। আজ সোমবার ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।